পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রথম খন্ড.djvu/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ చిat মহাশয় কত পূৰ্ব্বোক্ত শ্লোকায়ের অনুবাদে পালবংশের সমুদ্র হইতে উৎপত্তি সম্বন্ধে কোন কথাই নাই। প্রথম শ্লোকাংশটি খালিমপুরে জাবিষ্কৃত ধৰ্ম্মপালদেবের তাম্রশাসনের দ্বিতীয় শ্লোকের অংশ। ইহার বঙ্গানুবাদে দেখিতে পাওয়া যায় যে, চন্দ্র ও লক্ষ্মীর উৎপত্তিস্থান সমুদ্রের সহিত পালবংশের বাজি-পুরুষ ক্ষয়িতবিষ্ণুর তুলনা করা হইয়াছে । দ্বিতীয় শ্লোকাংশটি যুজেরে আবিষ্কৃত দেবপালদেবের তাম্রশাসনের একাদশ শ্লোক। মৈত্রেয় মহাশয়ের অনুবাদে দেখিতে পাওয়া যায় যে, দেবপালদেবের মাতা বুন্না দেবীর সহিত যুক্তাপ্রসবকারী সমুদ্র-জাত যুক্তির তুলনা করা হইয়াছে ”, স্বতরাং এইস্থানে অর্থাৎ গোপাল ও ধৰ্ম্মপালের ঘটনার পরে পালবংশের উৎপত্তি সম্বন্ধে কোন কথাই থাকিতে পারে না । সমস্ক্রেয় রামচরিতে সিন্ধু বা সমুদ্র হইতে ধৰ্ম্মপালের উৎপত্তির উল্লেখ আছে । রামচরিতের শ্লোকগুলি দ্ব্যর্থবাচক, এইজন্য রামচরিতের যে অংশের টীকা আছে, তাহাতে রামপক্ষে এবং অপর পক্ষে উভয় প্রকারের ব্যাখ্যাই প্রদত্ত হইয়াছে= t প্রিয়মুমূদ্রিতলক্ষ্মীযুগলং কমলানামিন: স বস্তহুতাং । কৃত্বালোকাহরণং মহাক্ষয়ে যং বিধুর্বিশতি । =রাম-চরিত, প্রথম পরিচ্ছেদ, ওয় শ্লোক। টীকাকার সমুদ্র পক্ষে ইহার নিম্নলিখিত ব্যাখ্যা করিয়াছেন – “সমুদ্রপক্ষে । কমলানামিন পতিঃ সমুদ্র প্ৰিয়ং ব ভমুতাং ইতি এব লক্ষ্মীপ্রাদুর্তাবাৎ উন্মুদ্রিতলক্ষ্মীক: মহাক্ষয়ে মহাপ্রলয়ে লোকাহরণং কৃত্বা লোকান, কুক্ষেী নিক্ষিপ্য যং সমুদ্রং বিধু বাস্থদেবো বিশতি ॥৩ ৷” ইহার পরের শ্লোকে দেখিতে পাওয়া যায় যে, সেই সমুদ্রের বংশে রাজা ধৰ্ম্মপাল জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন - t (১৩) গৌড়লেখমালা, পৃ: ১৮ । , (১৪) গৌড়লেখমালা, পৃ: ৪৬ । * . (*) Memoirs of the Asiatic Society of Bengal, vol. III p.20.