পাতা:বাঙ্গালার জমিদার - বামাচরণ মজুমদার.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
বাঙ্গলার জমিদার

অন্যায় অসঙ্গতের অনুমোদন করিয়া, জমিদারগণের বিপদ ঘণীভূত করিয়া তুলিয়াছে। কর্ম্মচারী, বন্ধু ও আশ্রিতজনের কর্ত্তব্য,—পালক এবং আশ্রয়দাতার হিতসাধন করা, তাঁহার অন্যায় এবং ভুল দেখাইয়া দেওয়া। উপস্থিত ক্ষেত্রে তাহার ব্যাতিক্রম ঘটিয়াছে। মানুষ যতই কেন বিদ্বান্ বুদ্ধিমান হউন না;— ভুল ভ্রান্তির হাত কাহারই এড়াইবার উপায় নাই; মতিভ্রম সকলেরই হয়, — আত্মবিস্মৃতি জন্মিয়াই থাকে। এরূপ দুঃসময়ে শুভানুধ্যায়ীদিগের যাহা কর্ত্তব্য, তাহা ন্যায়সঙ্গত রূপে পালন না করিলে অত্যন্ত অন্যায় ও নিতান্ত অসঙ্গত কার্য হয়। বর্তমান সময়ে কিন্তু ঠিক ইহার বিপরীত ভাবে কাজ হইতেছে।

 যখন কোন জমিদার ভ্রান্ত-ধারণা ও মোহের বশবর্তী হইয়া অন্যায় অসঙ্গত কার্য দ্বারা আপনাকে নানারূপে বিপন্ন করিয়া তোলেন, তৎকালে বন্ধু, তথা কথিত হিতৈষী (!) কর্মচারীগণ, পালক ও আশ্রয়দাতা জমিদারের কৃত ভূল কার্য্যকেও, উত্তমউত্তম বলিয়া তারস্বরে চীৎকার করিয়া উহার ভ্রান্তি মোহ শতগুণ বৃদ্ধি করিয়া দিয়া থাকেন; এবং অন্যায় অসঙ্গতের অযথা সমর্থন করিয়া, ষ্টেটের সর্ববনাশের পথ পরিষ্কার করিয়: দেন। যাঁহারা ঐরূপ কার্য করেন সত্যই কি তাঁহারা হিতাকাঙ্ক্ষী?

 দেশে আজকাল স্বার্থপর চাটুকারের সংখ্যাই অধিক: জমিদাবদিগের নায়েব, দেওয়ান প্রভৃতি উচ্চ কর্মচারী, পর্য্যন্ত