পাতা:বাঙ্গালার জমিদার - বামাচরণ মজুমদার.pdf/১৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৪
বাঙ্গলার জমিদার।

মানসম্ভ্রম এবং অস্তিত্ব বজায় রাখিতে হইলে, প্রত্যেক জমিদারকেই তথাকথিত কর্ম্মচারী ও বন্ধুগণের চাটুকারিতা হইতে দূরে অবস্থান করিতে হইবে, তাহাদিগকে চিনিয়া লইতে হইবে। মিথ্যা বিলাসিতা হইতে আপনাকে তফাতে রাখিবার জন্য বিশেষ মনোযোগী হইতে হইবে। অবর্জ্জনা যত দূর করিয়া দেওয়া যায় ততই মঙ্গল। অবর্জ্জনা দূর করিয়া তৎসঙ্গে বিচক্ষণ বুদ্ধিমান ও সদ্বংশজাত ব্যক্তিগণকে ষ্টেটের কার্য্যভার প্রদান করা আবশ্যক। এখন এইরূপ করিবারই আবশ্যক হইয়াছে। কেবল তোষামোদ খোসামোদের বশীভূত হইলে চলিবে না; নিজের হিসাব ষোলআনা বুঝিয়া লইতে হইবে, অপর পক্ষে অর্থনীতির আলোচনা এবং নিজ অবস্থার সম্যক জ্ঞানলাভ করিয়া চলিতে হইবে।

 উল্লিখিত বিষয় সকলের আলোচনা করিতে যাইয়া লেখককে অত্যন্ত বিপন্ন হইতে হইয়াছে। সমাজ বিশেষের উপর গায়ে পড়িয়া স্বকৃত মোড়লের ন্যায় কথা বলিতে হইয়াছে। কি করা যায়;—বিপদ যখন মাথার উপর বোঝা হইয়া চাপিয়া পড়িয়াছে, তখন আর চুপ করিয়া থাকা কখনই সঙ্গত নহে। পেট ভরিয়া খাইলে যদি লক্ষ্মী ছাড়েন—তবে নাচার। যখন আধপেটা খাইয়াও সচলা কমলাকে যখন অচলা করিয়া রাখিতে পারা গেল না, তখন আর ভয় করিয়া চলিলে কি হইবে।

 স্থুল কথা, বর্ত্তমান সময়ে যে একটা অদল বদল আরম্ভ