পাতা:বাঙ্গালার জমিদার - বামাচরণ মজুমদার.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
(২)

“দৃষ্টিরও অভাব হয় নাই, লেখক তজ্জন্য লজ্জিত বা দুঃখিত নহেন; কেন নহেন, উপরেই তাহা বলা হইয়াছে।

 সাহিত্য সমাজে নাম ও যশের কাঙ্গাল হইয়া এই পুস্তক প্রচার করা হইতেছে না। উদ্দেশ্য ভিন্নপ্রকার, কাজেই অধুনা প্রচলিত তোষামোদ খোসামোদ এবং চাটুকারিতার একান্ত অভাব আছে। দেশের ও সমাজের দুর্ভাগ্য এবং অন্তর্ভূত অভাব প্রকাশ করাই ক্ষুদ্র পুস্তকের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। সে উদ্দেশ্য কিয়ৎ পরিমাণে সিদ্ধ হইলেই যথেষ্ট।

 এই ক্ষুদ্র নগণ্য পুস্তক পাঠ করিয়া দেশহিতৈষী গণনীয় মহোদয়গণের দৃষ্টির কণামাত্রও যদি দুর্ভাগ্য সমাজের দিকে নিক্ষিপ্ত হয়, তাহা হইলেই লেখক কৃতার্থ হইবে; তাহার অধিক সে আশা করে না,— আকাঙ্ক্ষাও রাখে না।

 বঙ্গের মহামান্য জমিদার মহোদয়গণ! স্বদেশের দুর্দ্দশাপূর্ণ এই ক্ষুদ্র পুস্তকখানি আমি আপনাদের সম্মুখীন করিতে সাহসী হইলাম। আপনার। ইহার প্রতি কৃপাদৃষ্টি করিয়া যদি আমার বাসনাপূর্ণ ও সমাজের দুর্দশা মোচন করিতে আপনাদের মহামূল্য সময়ের কিয়দংশমাত্র ব্যয় করিতে কৃপণতা না করেন, তাহা হইলে আমি চরিতার্থ হইব। উপরেই বলিয়াছি, ইহার অধিক আর আমার কোন আশা নাই, আর কোন উচ্চ আকাঙ্ক্ষাও রাখি না! নিবেদন ইতি-

কলিকাতা—
চৈত্— ১৩২০ সাল
গ্রন্থকারস্য