*》 ভূমিকা Ꮌ☾ পৰ্য্যন্ত সুদীর্ঘকাল আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করিয়াও অসীম ধৈর্য্য ও সহানুভূতিপূর্ণ সাহায্য দান সহকারে অপেক্ষা করিয়াছিলেন, তজন্ত আমি বিশেষভাবেই তাহাদিগকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাইতেছি। অভিধানের প্রথম সংস্করণ র্যাহার সহৃদয় তত্ত্বাবধানে মুদ্রিত হইয়াছিল, সেই নিউ আর্টিস্টক প্রেসের স্বত্বাধিকারী বন্ধুবর সুরেন্দ্রনাথ বসু মল্লিক মহাশয় এই দ্বিতীয় সংস্করণের মুদ্রাঙ্কণকাৰ্য্যও অতি যত্নের সহিত পরিচালন ও পরিদর্শন করিতেছিলেন এবং ইহাকে সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর দেখিবার জন্য আগ্ৰহান্বিত ছিলেন, তিনি আমায় অসীম কৃতজ্ঞতাপাশে বদ্ধ করিয়া, তাহার মস্তকে রক্তের-চাপ-বৃদ্ধি-রোগে ( Blood Pressure ) গত ২৭শে মাঘ ১৩৪৩, ইং ১৯৩৭ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারী তারিখে হঠাৎ পরলোকগমন করায় আমাদের আরব্ধ কাৰ্য্য-সমাপ্তির আনন্দে যে গভীর ও শোচনীয় বন্ধুবিয়োগ-দুঃখ মিশ্রিত হইল, তাহা অমোচনীয় এবং র্তাহার অভাবে যে ক্ষতি হইল, তাহাও অপূরণীয় রহিল । পরিশেষে বক্তব্য এই যে, র্যাহারা বাঙ্গালা ভাষার অভিধানের প্রথম-সংস্কলন-কালে স্বতঃ-প্রবৃত্ত হইয়া আমায় অল্পধিক শব্দ সঙ্কলন করিয়া পাঠাইয়াছিলেন, তাহদের নাম প্রথম সংস্করণের ভূমিকায় কৃতজ্ঞহৃদয়ে উল্লেখ করিয়াছিলাম। তন্মধ্যে বন্ধুবর শ্রদ্ধেয় শ্ৰীযুক্ত স্বরেন্দ্র নাথ দেব, এম-এ, মহাশয়ঞ্চ প্রথমবারের ন্যায় এবারও সমসাময়িক গ্রন্থ পত্রাদি পাঠকালে অনেকগুলি স-প্রয়োগ শব্দ সংগ্ৰহ করিয়া দিয়া অামায় কৃতজ্ঞতাপাশে বদ্ধ করিয়াছেন। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের অন্যতম সদস্য ডাক্তার আবদুল গফুর সিদ্দিকী সাহেব বাঙ্গালী মুসলমান ডাকনামের একটি তালিকা প্রস্তুত করিয়া দিয়া যে সাহায্য করিয়াছিলেন, প্রথম সংস্করণের ভূমিকায় যথাস্থানে তাহ উল্লেখ করিতে ভুল করায়, মুদ্রনশেষে স্বতন্ত্র পত্রখণ্ডে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিয়া অভিধানে সংযুক্ত করা হইয়াছিল। , এক্ষণে সেই ঋণ সকৃতজ্ঞ হৃদয়ে স্বীকার করিতেছি। কলিকাতা হাইকোর্টের ভূতপূৰ্ব্ব প্রধান translator অর্থাৎ অনুবাদক স্বৰ্গত বাবু রাজেন্দ্রনাথ শেঠ মোকদ্দমা-মামলা-ঘটিত নথিপত্র হইতে আদালতী ভাষায় ভিন্ন ভিন্ন জেলায় ব্যবহৃত বহু শব্দ সংগ্ৰহ করিয়া রাখিয়াছিলেন। র্তাহার সুযোগ্য পুত্র কলিকাতা হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট শ্ৰীযুক্ত নরেন্দ্রনাথ শেঠ, এম-এ, বি, এল মহাশয় সেই বর্ণানুক্রমিক সংগ্রহের সমগ্র মূল পাণ্ডুলিপি (যাহা বন্ধুবর কবিরাজ শ্রীযুক্ত প্রভাতচন্দ্র সেন কবিরঞ্জন মহাশয়ের সৌজন্যে আমার হস্তগত হয়), “বাঙ্গালা ভাষার অভিধানে” যথা-প্রয়োজন ব্যবহার করিতে দিয়া আমায় চিরকৃতজ্ঞতা পাশে বদ্ধ করিয়াছেন। এই অপূৰ্ব্ব সংগ্ৰহ হইতে বহু শব্দ যেমন গৃহীত হইয়াছে, তদ্রুপ আমার পূৰ্ব্বসঙ্কলিত, আদালতে ব্যবহৃত বহু শব্দের রূপ এবং অর্থ সমর্থিতও হইয়াছে। “প্রবাসী” পত্রিকার ভূতপূৰ্ব্ব । সহকারী সম্পাদক, অধুনা অবসরপ্রাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ্য অধ্যাপক, প্রসিদ্ধ সাহিত্যিক
- অবসর-প্রাপ্ত প্রিন্সিপ্যাল, এলাহাৰাদ, কায়স্থ কলেজ ।