পাতা:বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম সংস্করণ).djvu/১৫৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগ কথিত আছে গ্রন্থকার কলিকাতাবাণী কোন ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেটকে লক্ষ্য করিয়৷ এই চরিত্র অঙ্কিত করেন। মুর্গ বা স্থূলবুদ্ধি হাকিমের উপমাস্থল। জগদম্বা-দীনবন্ধুমিত্রের নৰীনতপস্বিনী নাটকের স্ত্রীচরিত্রবিশেষ। রাজা রমণীমোহনের মন্ত্রী জলধরের যোগ্য পত্নী। জলধর নিজেই বলিয়াছিলেন "আমার যেমনরূপ আমার জগদম্বারও ততোধিক ; "যেমন দেব৷ তেমনি দেবী, যেমন জগন্নাথ তেমনি মুভদ্র, যেমণি জলধর তেমনি জগদম্ব।”—কোকিলগঞ্জিনীস্বরে না বর্ণে? বয়সে গাছ পাথর নাই, * * চোয়াল দুখানি এমন উচু নয়নযুগল নয়ন গোচর হয় না : যদি চিৎ হয়ে কঁাদেন, বাছার চক্ষের জল চক্ষে থাকে, গড়াতে পায় না, এমনি খোল : আহা ! যখন হাসেন, যেন মুলোর দোকান খুলে বসেন : নাক দেখলে সুৰ্পণখ। লজ্জা পায় , আর কাজে কাজেই গজেন্দ্রগামিনী কারণ দুই পায়েতেই গোদ আছে : কথা কন আর অমৃত বর্ষণ হতে থাকে, অর্থাৎ যে কাছে থাকে তার সকল গায় থুতু লাগে।" "অমন কোটর চক্ষু, অমন মণিপুরী নাক, অমন হাৰুসিয় অধর, অমন মূলদন্ত, জগদম্ব মলে আর নয়নগোচর হবে না।" জগদম্বার এই রূপ, उशिष्ठ श्रांबांद्र cथt: ८कtन्गजथिग्न, कःভাষিণী ও কোপনা, ক্রোধে রসন ও সম্মার্জনী ব্যবহারে তৎপর। সুতরাং কলহপ্রিয় ও কুরূপার আদর্শস্থানীয় । জগমণি—গিরিশচন্দ্র ঘোষের প্রফুল্ল নাটকের স্ত্রীচরিত্রবিশেষ । দুশ্চরিত্র কাঙ্গালীচরণের পত্নী "মেয়েমদানী” আখ্যা পাইবার সম্পূৰ্বতেভাবে যোগ্য । প্রকৃতিতে অতিদুষ্ট, রূপে জগদম্বারই হার কুৎসিত এবং মুখরা, দুষ্টবুদ্ধি স্বামীর কুকার্য্যের অদ্বিতীয় সহায় স্বরূপ। এই জগমণিকে চাপরাশী বেশেও দেখা যায়। স্বামী ও স্বামীর কুসঙ্গীদিগকে "পি৬" বলিয়া ভৎসনা করিতেও শুনা যায়। অর্থের জন্ত যোগেশের সর্বনাশ উদ্দেঙ্গে যোগেশের সহোদর রমেশকে অধঃপাতে লইয়া যাইতে, যোগেশের শিশুপুত্র যাদবকে অনাহারে মারিবার জন্ত রমেশকে উৎসাহিত করিতে এবং জ্ঞানদার বাড়ী হইতে দলিল চুরি করিবার জন্ত মদন ঘোষকে নিযুক্ত করিতে এবং যাবতীয় নীচ ও ভীষণ কার্য্যে লিপ্ত দেখা যায়। রমেশ জগমণিকে “বিদ্যাধরী” বলিয়া ডাকিতেন। জনক [ দ্রঃ ] মিথিলার অধিপতি এবং সীতার পালক পিতা । ইহার প্রকৃত নাম “সীরধ্বজ” জনক তাহার কুলোপাধি। ইনি রাজা হইয়াও মহাযোগী ও নিষ্কামধৰ্ম্মী ছিলেন। এজন্ত তিনি রাজর্ষি নামেই প্রসিদ্ধ। সংসারে থাকিয়া যিনি f ১৫২৭ স্পৃহাহীন অপৰ ঐশ্বৰ্য্যশালী হইয়াও যিনি বিলাসগুপ্ত ও শিলিপ্ত তাহাকে রাজর্ষি জনকের সহিত তুলনা করা হয়। জলধর—জগদম্বা দ্র: । নবীন তপস্বিনী নাটকে Asås sfäI The Merv Wives of windorএর “ফলস্টাফ" চরিত্রের সদৃশ। রূপে জলধর পত্নী জগদম্বারই সমতুল্য। রাজা রমণীমোহনের চরিত্রহীন স্থূলবুদ্ধি মন্ত্রী। ইহার লাম্পট্যের ফলে কুলকস্তাগণ বিত্রত। এই লম্পট একদা লতিকান্ত সওদাগরের সাধুলা পত্নী মালতীর নিকট গোপনে প্রণয় প্রস্তাব করে এবং তাঁহাকে হস্তগত করিবার জন্য বিবিধ উপায় অবলম্বন করে কিন্তু মালতীর কৌশলে বিবিধ প্রকারে বিড়থিত ও লাঞ্চিত হয় । তাহার বিশ্বাস ছিল রসিকতায় রমণী বশ হয় । তাই একদা পথে মালতীকে দেখিয়া বলে "মালতী মালতী মালতী ফুল, মজালে মজালে মজালে কুল”। মালতীও তাহার রসিকতার উত্তরে "আমার আমরি খমেরি ভুল” বলিয়া জলধরের মরণ কামনা করেন। পরে মালতীর কৌশলে জলধর স্বীয় পঞ্জীব হস্তে যৎপরোনাস্তি তিরষ্কত এবং সম্মা5&নী দ্বারা প্রস্ত হন। অবশেষে কৌশলে মালতীর স্বামীকে দেশান্তরিত করিবার অভিপ্রায়ে রাজা একবার পাড়িত হইলে, জলধর ঔষধার্থে রতিকান্তকে আরব দেশ হইতে “হেদোল কুতকুতের” বাচ্ছার তৈল আনিবাব জষ্ঠ আদেশপত্র অস্ত্যমনস্ক রাজার স্বাক্ষরিত করিয়া লয়েন। রতিকান্তের নিকট এই পত্র পৌছিলে মালতী একটা প্রকাও লৌহ পিঞ্জর নিৰ্ম্মাণ করাইয়া বিদেশ যাত্রাকালে স্বামীকে অন্তরালে রাগিয়া জলধরকে আপনার নিকট আহবান করেন । মালতীর আহবানে আত্ম বিষ্কৃত জলধর মালতীর গৃহে প্রবেশ করিবামাত্র । রতিকাg দ্বারে আনীত করে । প্রাণগুয়ে অভিভূত জলধর তপন কলের পুতুলের মত। মালতীর ভগ্নী মল্লিক। তাইকে আলকাতরার পাত্রে লুকাইতে দিয়া পরে তুলা শণ প্রভৃতি সৰ্ব্বাঙ্গে লাগাইয়া একটি মুখস পরাইয়া দিয়া খিড়কির দ্বার দিয়া পলাইয়া যাইতে দেন, কিন্তু জলধর পলাইতে গিয়া পূৰ্ব্ব হইতে রক্ষিত সেই পিঞ্জরের মধ্যে পড়িয়া আবদ্ধ হন। তথন সেই আল্‌কাংরা মাথান ও তুলা লাগান পিঞ্জরবদ্ধ জলধর হেঁীদোল কুতকুতের বাচ্ছ পরিচয়ে রাজসমীপে নীত হইয়া বিশেষভাবে অপমানিত এবং রাজানুগ্রহে মুক্ত হন । কিম্ভূতকিমাকার ও ঘোর কৃষ্ণবর্ণ জীব অর্থে “হেদোল কুতকুতের বাচ্ছা” প্রবাদে পরিণত হইয়া গিয়াছে । তাড়কা ( দ্রঃ ] অতি দীর্ঘ বিকটাকার রাক্ষসী মুনিগণকে ধরিয়া ভক্ষণ করিবার জষ্ঠ হন্তপ্রসারণ ও মুখ ব্যাদান করিয়া তাড়া করিত নদে বলিয়া নাম । লক্ষণায়, বিক্রপে—“যেন তাড়ক রাক্ষসী ।” “মাগী যেন তাড়কা ।” দুৰ্লবাসা ( দ্রঃ ] অত্ৰিমুনির পুত্র কোপনস্বভাৰ মহর্ষি, সামান্ত কারণে ক্রুদ্ধ হইয়া শাপ প্রদান করিতেন এই প্রবাদ হইতে তুলনায় "যেন দুৰ্ব্বাস মুনি", "দুৰ্ব্বাসাল ফোধ বা কোপ”। দ্রৌপদী। দঃ পঞ্চস্বামীর পত্নী বলিয়া নাৰী ভাষায় নাতিনী বা অষ্ঠ ঠাট্টার সম্পৰ্কীয় কুলনারীর প্রতি তামাসাচ্ছলে উক্ত হয় ( মেয়েলি কপায় “দেরপোধি" ), ব্যঙ্গ ৰ৷ বিদ্ধপে অসতী অর্থে ব্যবহার । তুল--"তৰে যদি অবতীর্ণ ভবে পার্থরূপে, পাতাম্বর, কোথা পদ্মালয় ইণির ? দ্রৌপদী বুঝি? আঃ মরি কি সতী ! শাশুড়ীর যোগ্যবধূ" --বীরাঙ্গন৷ কাব্য। ২। পাণ্ডবদিগেব কামাক্ বনে বাস কালে দশসহস্ৰ তাপস শিষ্য লইয়া দুৰ্ব্বাস ঋষি তথায় ভোজনার্থ আগমন করেন। দ্রৌপদী একাকী রন্ধন করিয়া উtহাদের ভোজন করান । সুধের বরে তিনি যাহা রন্ধন করিতেন তাহ! তাহার যত ইচ্ছা, পরিবেশণ করিতে পারিতেন,--"কুমণ বলে, মহারাজ করি নিবেদন ।” "ধ্যের ব9ন আর তোমার প্রসাদে । দশ লক্ষ হলে ভুঞ্জাইব অপ্রমাণে ॥ চিস্থ না করহ কিছু ইহার কারণ। এই দেগ মহাপাঞ্জ করিতে রক্ষন ॥” "একবার এক দৰ্য করয়ে রন্ধন ॥” “আপনার ইচ্ছাবশে যত করে ব্যয় । সুখ্য অনুগ্রহে পুন পরিপূর্ণ হয় ।” “ভোজন করিল দশ সহস্ৰ তপস্বী ॥” “দুৰ্ব্বাস বলেন, রাজ তুমি ভাগ্যবান " "দ্রপদ নলিনী হয় লক্ষ্মীব সমান ॥" রন্ধন নৈপুণ্য এবং একাকী রঞ্চন করিয়া বহু লোককে ভোজন করাষ্টবার ক্ষম তার প্রশংসাচ্ছলে, প্রবাদে– "রঙ্গনে দ্ৰৌপদী”, “দ্রৌপদীর মত রাধুনি" । দশ পুস্তল” বতে মেয়েদের একট প্রার্থনা "দ্রৌপদীর মত রাধুনী হই।" নদের চাদ-নদীয়ার চন্দ্র । চন্দ্র অর্থে আহলাদ জনক বা আনন্দ দায়ক । সুতরাং নদীয়ার আনন্দস্বরূপ গৌরচন্দ্র বা গৌরাঙ্গদেব । শিশু পুত্ৰেৰ প্রতি আদরার্থে উক্ত হয়। ২। দীনবন্ধু মিত্রের লীলাবতী নাটকের পুরুষচরিত্রবিশেষ। কোন জীবিত ব্যক্তির প্রকৃত চরিত্রের আদশে ইহার কৃষ্টি বলিয়। উক্ত হয়। নদের চাদ স্ত্রীরামপুরের ভোলানাপ চৌধুরীর ভাগিনেয়। ইহার মাসতুত ভাই হেমৰ্চাদ ইহার সংসর্গদোমে ইহারই অনুরূপ প্রকৃতি প্রাপ্ত হয় । নদেরচাদ শ্রেষ্ঠ কুলীন ব্রাহ্মণের সন্তান কিন্তু যেমন দুবৃত্ত তেমনি অশিক্ষিত ও অশিষ্ট, যেমন লম্পট তেমনি নেশাথোর এবং ভদ্র নরনারীর সম্মান রাখিয়া কথা কহিতে অনভ্যস্ত ৷ গুলির আডড ইহাদের নিকট "মুক্তিমণ্ডপ” বলিয়া