শকু (రిe “রূপে লক্ষ্মী (গুণে সরস্বতী) ।” দরিদ্র অর্থে সীতা-সতীত্ব রক্ষায় সীতা আদর্শস্থানীয় বলিয়া —“লক্ষ্মী ছাড়া।” প্রাচুয্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বলিয়| প্রবাদে—"লগীর ভাণ্ডার ।" শকুনি মামা শকুনি দ্রঃ দুৰ্য্যোধনের মাতুলের মত কুমন্ত্রী। প্র—যেমন দুৰ্য্যোধন রাজা, তেমনি তার শকুনি মন্ত্রী জুটেছেন। কালনেমী দ্রঃ । শঙ্কর চক্ৰবৰ্ত্তী—যশোহরের রাজা প্রতাপদিত্যের সেনাপতি । প্রসিদ্ধ বীর ও অতিশয় সাহসী ছিলেন বলিয়া প্রবাদে—“শঙ্কর চক্ৰবৰ্ত্তকে খেলে বাঘে, অন্ত লোকে কোথা লাগে।” শল্য-নকুল সহদেবের মাতুল শল্য যিনি কর্ণের সারথী হইয়া পাগুবদিগের বিরুদ্ধে কুরুক্ষেত্র সমরে দুৰ্য্যোধনের পক্ষাবলম্বন করেন, অৰ্জ্জুনহস্তে কর্ণ নিধনের পর তিনি রথী হইয়া পাওবদিগের সহিত সংগ্রাম করিতে গমন করেন। ভীষ্ম, দ্রোণ, কর্ণের স্তায় মহাবীর যাহাঁদের হস্তে নিহত হন তথায় শল্যের সেনাপতিত্ব গ্রহণ উপহাসের বিষয়, তাহা হইতে প্রবাদে—“ভীষ্ম ঘোণ কৰ্ণ গেল শল্য হল রণী । চন্দ্র স্বৰ্য্য অস্ত গেল জোনার পাছে বাতী ॥" অনুরূপ স্থলে এই প্রবাদ প্রযুক্ত হয় । সাবিত্রী { দ্রঃ ] আদশ সতী সাবিত্রীর সহিত তুলনায় “সতী সাবিত্ৰী”, “সাবিত্রী সমান সঞ্জী হও”, পত্রে সম্বোধনে “সাবিত্ৰীসমানেষু" । সীতা রামকে বলিয়াছিলেন—“তুমি আমাকে সত্যৰানের সহধৰ্ম্মিণী সাবিত্রীর স্যtয় তোমারই বশবৰ্ত্তিনী জানিও।”—রাম, অযোধ্যাকাও ৷ সিরাজুদ্দৌলা-বাঙ্গালার স্বনামখ্যাত নবাব উচ্ছম্বল-প্রকৃতি স্বেচ্ছাচারী এবং যৌবনস্থলভ ভোগবিলাসী ছিলেন বলিয়া প্রবাদ আছে । তাহা হইতে লোক বিশেষে ঐরপ প্রকৃতির বা বিলাস ৰাহুলোর সাদৃগু দেখিলে উক্ত হয়— “যেন নবাব সিরাজুদ্দৌলা ।” এইরূপ বঙ্গের নবাব মুর্শিদকুলি খার প্রতিদ্বন্দ্বী নবাব খান জাহান থার ( গ্রা—থাঞ্জাথান ) অতিরিক্ত নবাৰী চাল চলনের জন্ত প্রবাদে "নবাব থাgাথান এসেছেন” । | প্রবাদ "সীতা সতী” এৰং মেয়েদের ব্রত কথায় প্রার্থনীয় বর “সীতার মত সতী হই’ । সুগ্ৰীব ( দ্রঃ রামমিত্র সুগ্ৰীৰ । ইনি মহাবল ছিলেন, কিন্তু জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা অদ্বিতীয় বলশালী ৰালির তাড়নায় সমস্ত পৃথিবী ছুটির বেড়াইতে वां५] श्ब्रांश्लिन । उांशंद्र यश ठिनि আদ্যোপান্ত ভুবৃত্তান্ত জানিতে পারিয়াছিলেন এবং সেই জ্ঞানানুসারে পৃথিবীর চতুর্দিকে স্বস্মরপে বিবরণ জানাইয়া সীতাম্বেষণার্থ চর পাঠাইতে সমর্থ হইয়াছিলেন । এতদ্ব্যতীত তাহার মহাবীৰ্য্যশালী অসংখ্য বানর সৈন্ত রামচত্রের সাহায্যার্থ নিয়োগ করিয়াছিলেন । এদিকে নর বানরের সংগ্রামে নিধনপ্রাপ্তি রাবণের নিয়তি ছিল । তাহা হইতে প্রবাদে —“একে রামে রক্ষা নাই সুগ্ৰীব তার মিতা । সূৰ্পণখা [ জ: ] রাবণের বিধবা ভগিনী, কাম রূপিণী রাক্ষসী । দণ্ডকারণ ইহার বিহার ভূমি ছিল । পঞ্চবটী বনে সীতাকে দেখিয়া সীতার রূপে ঈস্যাম্বিত হইলে, লক্ষ্মণ সুৰ্পণখার নাসা- | কৰ্ণ ছেদন করিয়া দিলে এই রাক্ষসী প্রতিহিংসাবশে সীতাহরণার্থ রাবণকে উৎসাহিত করিয়া জনস্থানে আনয়ন করে । ইহা হইতেই রারণের , সৰ্ব্বনাশের ও রক্ষোকুল নাশের স্বত্রপাত হয় । । ঐশ্বৰ্য্যনাশ এবং বংশনাশ ও সৰ্ব্বনাশের হেতু স্বরূপিণী ভগিনীকে বিদ্ধপার্থে “সুর্ণণগ", মেয়েলি—“স্বপ্ন প্ৰথা" বলা হয়। (২) নাসিক ছেদন হেতু স্থৰ্পণখার অনুনাসিক স্বব অনুমানে ; রাম যাত্রার স্বৰ্পণখার"া গে" চাংকার । লঙ্কার সিংহাসনে রাবণের কর্ণে পোছানর অভিনয় দেখিয়া থোন স্ত্রীলোককে বিদ্ধপার্থে ! স্বৰ্পণখা বলে। (৩) নাক কান কাটার ব্যাপার ; স্মরণে ভৎসনায় বা গালিতে "স্বৰ্পণখা" । বলিয়া সম্বোধন । হনুমান ( দ্রঃ ] রামায়ণের কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ডে । আছে হনুমানের বাক্য শুনিয়া রাম লক্ষ্মণকে | | | বলিয়াছিলেন—“ঋগ্বেদজ্ঞ, যজুৰ্ব্বেদজ্ঞ ও সামবেদজ্ঞ পুরুষ ব্যতীত অপর কেহ ঈদৃশবাক্য প্রয়োগ করিতে পারে না । ইনি অনেক কথা বলিয়াছেন, কিন্তু একটিও অপশব্দ প্রয়োগ : অপু করেন নাই। ৰোধ হয় ইনি ব্যাকরণ প্রভৃতি বিবিধ ব্যুৎপাদক গ্রন্থ বহুবার অধ্যয়ন করিয়াছেন। বক্ষঃস্থল ও কণ্ঠগত মধ্যম স্বর অবলম্বনপূর্বক পদবিস্তাস ক্রম অতিক্রম না করিয়া শ্রুতিকটুপদখুষ্ঠ ৰাক্য প্রয়োগ করিয়াছেন।” পরাক্রম উৎসাহ বুদ্ধি প্রতাপ স্বশীলতা মাধুর্ঘ্য নীতিজ্ঞান গাম্ভীৰ্য্য চাতুৰ্য্য বীৰ্য্য এবং ধৈর্য্য প্রভৃতি গুণে হনুমান অপেক্ষ ইহলোকে কেহই অধিক নাই । * * * ইনি সমস্ত বিদ্যা কি ছন কি তপোৰিধান সকল বিষয়েই স্বরগুরুকে স্পৰ্ব করেন”—রামায়ণতত্ত্ব । “বুদ্ধি ও কাৰ্য্যসিদ্ধি ই হারই আয়ত্ত, বল উৎসাহ ও শাস্ত্ৰবোধই হারই ছিল (মুনারাকাও ) । সৰ্ব্বগুণে গুণান্বিত হইলেও রামায়ণোক্ত হনুমান কর্তৃক লঙ্কাদগ্ধ ব্যাপার এবং পশুরাজ্যের বানর বংশীয় হনুমানের প্রকৃতি স্মরণ করিয়া লোক অকৰ্ম্মকারী দুৰ্ব্বদ্ধি জনের উদ্দেশে "মুমান" “হনুমান আর কি” “আস্ত হনুমান” ইত্যাদি বলিয়া থাকে। হনুমানের এই লঙ্কাদগ্ধব্যাপার স্মরণে সাহিত্যিকেরাও রসিকতা করিতে ছাড়েন না। প্রসিদ্ধ কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ও র্তাহার জ্যেষ্ঠতাতপুত্র স্বভাবকবি মহেশচন্দ্রের মধ্যে কবিতার লড়াই হইত, কোন কারণে মহেশচন্দ্র প্রতিজ্ঞা করিয়া ঈশ্বরচন্দ্রের সহিত কবিতার লড়াই বন্ধ করেন। তাহাতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্ধপ করিয়া লেখেন "দাদা লেজ ওটালে কেন ?" মহেশচন্দ্র উত্তর দেন,—“ওরে দুই ভায়ের দুই থাকলে লেজ, থাকত ন সংসার । একে তোমার লেজে গেছে মজে, সোণার লঙ্কা ছারেথার ।" হরি ঘোষ—কলিকাতা বাগবাজার কাটাপুকুর নিবাসী ও পরে কাশীপ্রবাসী মকরণ ঘোষ বংশজ শ্ৰী হরি ঘোষ বহু অকৰ্ম্মণ্য আত্মীয় স্বজন প্রতিপালন করিতেন । নিষ্কৰ্ম্ম ব্যক্তি একৰাঁর তাহার শরণ লইতে পারিলেই তাহার বাড়ীতে আশ্রয় পাইত। ঐ সকল অকৰ্ম্মণ্য লোকের বাস হেতু তাহার বাড়ী গোয়াল নামে প্রসিদ্ধ হইয়াছিল। কথায় "যেন হরি ঘোধের গোয়াল হয়েছে বা করে ফেলেছে।" “হরি ঘোষের গোয়াল পেয়েছে’ ইত্যাদি । বঙ্গীয় নরনারীর প্রচলিত নামসংক্ষেপ ও ডাক নামবোধক শব্দাভিধান। [ মুসলমান নামে “দ্র:"="বাঙ্গালী মুসলমানদিগের আরবী ও ফারসী নামের বিশুদ্ধ উচ্চারণসঙ্গত বানান ও অর্থ”-শীর্ষক পরিশিষ্ট দ্রষ্টব্য ] অতুল (ওতুল) যাহার তুলনা নাই এই অর্থে) অতুলকৃষ্ণ, অতুলচন্দ্র, অতুলপ্রসাদ, অতুলৰিছাৰী সংক্ষেপে । আদরার্থে "ওতু” । অনাদরে—**ওৎলে" । অনিল ( ও ) [ পৰন, বন্ধ অর্থে ] অনিলচন্দ্র বা কুমার সংক্ষেপে । আদরার্থে “অনি" । তুচ্ছার্থে "ওনে” । অমু দ্রঃ । অনু (ও ) ( অনিল ত্র: । অমুকুল দ্রঃ। আদরার্থে ] অনুকূলচন্দ্ৰ তুচ্ছার্থে "ওনো” বা *ওনে” । অপু (ওপু)। অপূৰ্ব্ব হইতে, আর "অপু” ] অপূৰ্ব্বকুমার,—কৃষ্ণ – চন্দ্র, — প্রকাশ,— লাল সংক্ষেপে। অনাদরে—“ওপে” ৷ ২ ৷ স্ত্রী, অপূর্বকুমারী-নলিনী,—ৰাল,—সুন্দৰী, সংক্ষেপে । অনাদরে—“অপী" ( ওপি ) ।
পাতা:বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম সংস্করণ).djvu/১৫৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।