পাতা:বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম সংস্করণ).djvu/৮৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধাতু ধাতুময় ( ) I ধাতু+ময় ( নিশ্বিতার্থে ময়টু ) ] বিশ, ধাতুনিৰ্ম্মিত , ধাতুম্বারা গঠিত। ২ । ধাতুতে পূর্ণ। ধাতুমল (লু) । ধাতুর মল (ময়লা) তৎ] বি, পুং, ক্লী, ধাতুর কিট : মরিচ ২ । লোহমল ; লোহকিট : মন্দুর : ধাতুমাক্ষিক (ধাতুমাধিক) ধাতুর স্কার আভাযুক্ত পদার্থবিশেষ ; মাক্ষী দ্র: মধু थाङ्कक : pyrites. [ মাক্ষিক বিবিধ প্রকার : fixo ( copper pyrites ) : xfaffix , conifo (golden pyrites ) রৌপ্যaffror ( silvei pyrites)] i ধাতুপল (স্) । ধাতু+উপল ৰি, পুং, চাখড়ী : থট । ধাতৃপুত্র ( ধাত্বপুত্ৰ) । ধাতার পুত্ৰ— ৬তং ] বি, পুং, সনৎকুমার ৷ ২ ৷ ব্ৰহ্মার পুত্র । ধত্রিকা (ধাত্বক ) { ধাত্রী +ক (সংজ্ঞার্থে) +আ, স্ত্রী ] বি, স্ত্রী, আমলকী। ধাত্রী (ধাত্ব ) { ধা (ধারণ, পোষণ করা ) +ত্ব (কৰ্ত্ত—তুচ)=ধাতৃ +ঈপ –স্ত্রী, যিনি গর্ভে ধারণ করেন | বি, স্ত্রী, গর্ভধারিণী : জননী ৷ ২ ৷ মাতার মত স্তন্তদানে যে পোষণ করে ; মাতৃসমা : পালনকত্রী । ৩। যে নারী সপ্তান প্রসব করায় ও সদ্যোজাত শিশু ও প্রস্থতির শুশ্রুষা করে : ধাই : দাই । ৪ । ধরিত্রী ; পৃথিবী ধাত্ৰীফল : আমলকী। ধাত্রীপুত্র-উপমাতার পুত্র। ২। নট। ধাত্রীফল—আমলকী । ধাত্রেয়ী ( ধাৎত্রেঈ ) { ধাত্রী ( উপমাতা +এয় ( স্বার্থে-ঞ্চেয় )—ঈপ, স্ত্রী ] বি, স্ত্রী, ধাই। ধাধস ( ধধোণ, ) বি. ধাধা ; ভ্রম। প্র— “নিদের আলসে বধুর ধাধসে তাহারে করিমু কোরে ।”—-চণ্ডীদাস [ধাতসা (হি ) । গ্রা—ধাধোস শারীরিক ধাতু : গায়েব জল । ধান (ধান) { সং—ধান্ত ] বি, সতুৰ তণ্ডুল : ধান্ত দ্রঃ । প্র—ধান মাপা : ধান সিদ্ধ করা। ২ । ধানগাছ । প্র—ধান কাটা । ৩ । এক ধান পরিমাণ ভার ; রতির চতুর্থাংশ : gain. ৪ । চার তিল পরিমাণ । বিণ, ধেনো । ধান গাছের বিভিন্ন অংশের নাম —আগড়া-- মঞ্জরীর যে অংশে ধান অপুষ্ট ও শস্যশৃঙ্গ থাকে আগায় থাকে বলিয়া আগড়া। খড় –কাটা পাকা ধান গাছ : গর্ভথোড়— যে গাছের পোড হইয়াছে তাহার মধ্যস্থলেল সারাংশ । তুষ-পানের পোস বা চালের আবরণ । থোড়—শীষ বা মঞ্জরী হইবার 1 ալՀt . b">8 পূৰ্ব্বে জাত গাছের ভিতরের স্থূল সারাংশ। নাড়া–কাটা গাছের গোড়া যাহা ক্ষেতে খোচা খোচা হইয়া থাকে। পাল!—খড়ের পাতা। পল, পোয়াল-খামারে মাড় ধান গাছের পাতা। শীর্ষ, শীষ—ধান্তমঞ্জরী। শুক-ধানের শুীয়া বা শুঙা । অণমনধান-শালি ধান্ত : যে ধান হেমন্তকালে হয়। আউস ধান-বৰ্ষাকালীন ধান · আণ্ড ধান্ত : ব্রীহি ধান্ত। ষাট বা মেটে ধান —গ্রীষ্মকালীন ধান : বোরো ধান । বঙ্গদেশ ধান ও চাউলের জন্য প্রসিদ্ধ । বৌদ্ধ যুগের বাঙ্গাল সাহিত্যে বহু প্রকার ধানের নাম উল্লিখিত হইয়াছে। শুষ্ঠপুরাণে উক্ত ধানের উল্লেখ —আজান, আন্ধারকুলি, আম পাবন, আমলো, আলোচিত, আসতিব, আসঅঙ্গ উড়াদালী, ককচি, কনকচুর, কাঙদ, কামদ, কালাকাত্তিক, কালাখুগর, কুসুমমালী, কোটা, থৗরকম্বা, খেজুরছড়ি, থেমরাজ, গআবালি, গঙ্গতুলসী, গন্ধমালতী, গুজুরা, গোতমপলাল, গোপালভোগ, চন্দনপাল, ছিছর}, জলারাঙ্গি, জেঠ, জোলি, ঝিঙ্গাসাল, ঢাঙ্গন, তসরা, তিলসাগর, তুলানধান, তুলসালি, তোজনা, দলাগুডি, দাড, দুধরাজ, নাগরমুগাণ, পলাল, পৰ্ব্বতজিরা, পাঙ্গুসিয়া, পাতল, পাথর, ফেফেরি, বককড়ি, বন্ধি, বালি,বিদ্ধসাণী, পুথি, বুড়ামাত্তা, ভজন, ভাদোলী, ভাদমুখি, মইপাল (মহীপাল ), মাধবলতা, মুক্তাহার, মুলামুক্তাহার, মোকলস, রক্তসাল, রামগড়, রাজদল, লতামেী, লাউদলী, লালকামিনি, বাঞ্চই, বাকচুর, বাকসাল, বাগনবিচি, বাসকটা, বঁাজগজ, বাসমতী, বোঙ্গালি, সনাপড়কি, সালছাট সীতাসালী, সোলপনা, হরি, হরিকালি, হাতিপাঞ্জর, হুকুলি । সপ্তদশ শতাব্দীর বাঙ্গাল গ্রন্থে ধানের উল্লেখ :--হরিশঙ্কর, ইতিপঞ্জর, হুড, হরকুলি, হাতিপাদ, হিঞ্চি, হলুদণ্ডড়া, কেলেকামু, কেলেজিরা, কালিয়া, কাৰ্ত্তিকা, কয়াকচা, কাশীফুল,কপোতকণ্ঠিকা, কালিনী, কটকী, কুসুমশলী, কনকচুব, দুধরাজ, দুর্গভোগ পর্দেশী, ধুস্থ , কৃষ্ণণালী, কোঙরভোগ কোঙরপূর্ণিমা, কন্মিলতা, কনকলতা, কামোদ, খেজুরথুপ, থরেরণালী, ক্ষেম, গঙ্গাজল, গয়াবলি, গোপালভোগ, গৌরীকাজল, গন্ধমালতী, গুয়াখুপী, গুণাকর, চামরঢালি, বন্ধনশালী, ছত্রশালি, জটাশালি, জগন্নাপভোগ, জামাই লাড , জলারাঙ্গী, ছিঙ্গাশালী, বলাইভোগ | ধানকু co ধানসী { সং—ধনা } বি, রাগিণবিশেষ ; ধুলা, নিমুই, নানশালি, রূপনারায়ণ, পাতলাভোগ, পায়রারস: পিপীড়ার্লাক, তিলসাগরী, বঁাশালি, বাকোই,বুয়ালি, দাড়বঙ্গী, বাকচুর, বুড়ামাত্রা, রামশালি, রাঙ্গী, রাঙ্গামেট্যা, রামগড়, রঙ্গয়করি, পুণ্যবতী, নছীপ্রিয়, লাউশালি, ধানা লক্ষ্মীকাজল, ভোজন, ভবানীভোগ, সীতাশালি, শঙ্করশালি, শঙ্করজটা—শিবায়ন । ধানকাটা—ধান পাকিলে গাছ কাটিয়া আট বাধিয়া রাণী । ধান কঁাড়া—ধানকে টেকিতে কুটিয়া নিস্তষ কর । ধান কাড়ান —ধান ক্ষেতের আগাছা নষ্ট করিবার জষ্ঠ ক্ষেত চষ। ধান কোটা—ধান কঁড়ি ; টেকিতে ধান ভান। ধান ঝাড়া—খামারে আনিয়া ধান গাছের আটি পাটায় আছড়াইয়া ধান ঝরান । ধান বোনা-সীতা রেখায় ধান ছড়াইয়া বপন করা । ধান নাড়িয়াদেওয়া —বীজ ধান হইতে চারা গঙ্গাইলে স্থানান্তরে পুতিয়া দেওয়া । ধান ভান|—ধান কুটিয়া চাউল বাহির করা : ধান কাঙা । ধান ভনিতে শিবের গীত—অপ্রাসঙ্গিক কথার অবতারণ। ধান দিয়ে লেখা পড়া শেখা—খরচ পত্র না করিয়া সামান্ত ব্যয়ে অল্প স্বল্প বিদ্যালাভ করা । ধান মাড়ী —শীষ হইতে ধান পৃথক করিবার জন্ত গরুর পায়ে ধানের মঞ্জরী মাড়ামাড়ি করিতে দেওয়া । ধান শুকান—ভিজা বা সিদ্ধ ধান রৌদ্রে ছড়াইয় শুষ্ক করা। উড়াধান, ঝরা বা ঝড়া ধান ক্ষেতে ধান পাকিয়া বাতাসে উড়িয় পড়ে এবং তাহ হইতে ধান গাছ জন্মে বলিয়া উডী বা ঝড় ] বি, উন্থ ৷ ২ ৷ নীবার। বীজ ধান—যে ধান বপন করিয়া গাছ করিবার জন্য রাখা হয় । কত ধানে কত চাল তার খবর ত রাখ না— প্রত্যেক ধান হইতেই চাল পাওয়া যায় না । অনেক ধানে গাছই জন্মে না, অনেক ক্ষেতে, খামারে, টেকিশালে নষ্ট হয়, অনেক আগড়ায় যায়। এইরূপে ধানের পরিমাণ অনুসারে যে অনেক কম চাউল হয় তাহার তত্ত্ব । उjझां হইতে সংসারের আয় ব্যয়ের, ধান চালের থরচের খবর (নিরপেক্ষ এবং দায়িত্ব বোধহীন ব্যক্তিরা এ সকল খবর রাগে না বলিয় তাহাঁদের প্রতি এই কথা ব্যঙ্গোক্তিতে প্রযুক্ত হয় । ধান দূৰ্ব্ব-ধান্ত ও দুৰ্ব্বা ঘাস : মঙ্গল দ্রব্যদ্বয়। ধান দূর্ব দিয়া আশীৰ্ব্বাদ-স্বর্ণ রৌপ্যাদি বহুমূল্য দ্রব্য দান সহ আশীৰ্ব্বাদ না করিয়া অযত্ন সুলভ ধান দুৰ্ব্বা মস্তকে স্পশ করাইয়া আশীৰ্ব্বাদ । ধানবাড়ি-খণস্বরূপ প্রদত্ত ধান : বৃদ্ধিহেতু আগাম দেওয়া ধান। ( ) বি, ক্লী, ধষ্ঠাক ; ধনিয়া । ইহা বীররসে প্রযুজ্য বলিয়। উক্ত হইয়াছে। ধানা | ধান + আ (জাতার্থে) ] বি, স্ত্রী, চি ডে । २ । गरुडाछ । ७ । थश् । 8 ।। ५निम्न । ধানাচুর্ণ-সত্ত, ছাতু।