পাতা:বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক বক্তৃতা.pdf/১৭

दांचांद डांवां ९३ नांश्ड़िg } R কাব্য, সঙ্গীত, পুৱাবৃত্ত, পুরাতত্ত্বানুসন্ধান, বিজ্ঞান, দর্শন,- আপনার ভয় পাবেন না, এই সকল বিষয় সংক্ষেপে বলা যাইবে,-মুদ্রাযন্ত্র, সংবাদপত্র, সাময়িক পুস্তিকা, বক্তৃতারীতি, খৃষ্টানী বাঙ্গালা, মুসলমানী বাঙ্গালা, কয়েকটি ধৰ্ম্মের নিকট বাঙ্গালা ভাষার বিশেষ উপকৃত ভাব, বাঙ্গালাভাষার ক্রমোন্নতির কালবিভাগ, বাঙ্গালা ভাষার বর্তমান ও ভাবী অবস্থা । অনেকে মনে করেন যে, রাজা রামমোহন রায় বাঙ্গালাভাষার প্রথম গদ্যগ্রন্থের প্রণেতা, কিন্তু বস্তুতঃ তাহা নহে । তঁহাকর্তৃক বাঙ্গালায় গদ্যগ্রন্থ লিখিত হইবার পূর্বেও কতিপয় গদ্যগ্রন্থ প্ৰকাশিত হইয়াছিল । কিন্তু তাহাদিগের ভাষা ভাল নহে । ইংরাজী ১৮০৬ সালে প্রতাপাদিত্যচরিত্ৰ প্ৰকাশিত হয়। উহা রামরাম বসু দ্বারা কেরি সাহেবের প্ৰস্তাব অনুসারে প্রণীত হইয়াছিল । রামারাম বসু ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের একজন শিক্ষক ছিলেন । প্ৰতাপদিত্য-চরিত্রের ভাষা অতি কর্কশ । ১৮০৫ সালে কৃষ্ণচন্দ্ৰচরিত্ৰ প্ৰকাশিত হয় । উহাও কেরি সাহেবের প্রস্তাব অনুসারে ঐ কলেজের অন্যতার শিক্ষক রাজীবলোচন দ্বারা প্ৰণীত হয়। ১৮০৮ সালে রাজাবলী ও ১৮১৩ সালে প্ৰবোধ-চন্দ্ৰিকা ঐ কলেজের সংস্কৃত ও বাঙ্গালার অধ্যাপক উৎকল-দেশ-জাত শ্ৰীযুক্ত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার দ্বারা প্ৰকাশিত হয়। প্ৰবোধচন্দ্ৰিকার অনেক স্থল যে প্রকার উৎকট সাধুভাষায় লিখি芭, তাহার একটি উদাহরণ প্ৰদৰ্শিত হইতেছে :-“কোকিল কলালাপ বাচাল যে মলয়াচলানিল, সে উচ্ছলচহী করাত্যচ্ছ