পাতা:বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক বক্তৃতা.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RR বাঙ্গালী ভাষা ও সাহিত্য । নিঝরাম্ভঃকণাচ্ছন্ন হইয়া আসিতেছে।” ১৮১৪ সালে পুরুষপরীক্ষা প্ৰকাশিত হয়। উহা বিদ্যাপতিপ্রণীত ঐ নামের ংস্কৃত গ্রন্থের অনুবাদ । ১৮৩০ সালে কলিকাতার তদানীন্তন লর্ড বিশপ টর্নর সাহেবের প্রস্তাবানুসারে পুরুষ-পরীক্ষা রাজা কালীকৃষ্ণ বাহাদুরের দ্বারা বাঙ্গালা হইতে ইংরাজীতে অনুবাদিত হয়। ঐ অনুবাদ সাহেবমহলে রাজা কালীকৃষ্ণ বাহাদুরের প্রতিষ্ঠার মূল । উল্লিখিত গ্ৰন্থ সকল এমন অপকৃষ্ট ভাষায় লিখিত যে, রামমোহন রায়কে বাঙ্গালা গদ্যের সৃষ্টিকৰ্ত্ত বলিলে অন্যায় হয় না । তিনিই বৰ্ত্তমান বাঙ্গালা গদ্যের জনয়িতা । ১৮১৬ সালে রাজা রামমোহন রায় দশোপনিষদ বাঙ্গালা গদ্য ভূমিকার সহিত প্ৰকাশ করেন। সেই অবধি তিনি অনেক বাঙ্গালা গদ্যগ্ৰন্থ প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন । এই সকল গ্ৰন্থ ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় বিচার বিষয়ক। ইহার একখানি গ্ৰন্থ সহমরণের বিপক্ষে । সহমরণের পক্ষের লোকেরা তাহাদিগের একখানি গ্রন্থে আমাদিগের দেশের বেচারী স্ত্রীলোকদিগের উপর নানাপ্রকার অযথা দোষারোপ করিয়াছিলেন । রামমোহন রায় তাহাদিগের পক্ষ সমর্থন করিয়া যাহা লিখিয়াছেন, তাহা ভঁাহার গদ্যভাষার দৃষ্টান্ত স্বরূপ উদ্ধৃত হইতেছে :-

  • পঞ্চম, তাহাদের ধৰ্ম্মভয় অল্প । এ অতি অধৰ্ম্মের কথা, দেখা কি পৰ্য্যন্ত দুঃখ, অপমান, তিরস্কার, যাতনা, তাহারা কেবল ধৰ্ম্মভয়ে সহিষ্ণুতা করে। অনেক কুলীন ব্ৰাহ্মণ, র্যাহারা দশ পোনের বিবাহ অর্থের নিমিত্তে করেন, তাহারদের প্রায় বিবাহের পর অনেকের সহিত সাক্ষাৎ হয় না, অথবা যাবতজীবনের মধ্যে কাহারো সহিত দুই চারি বার সাক্ষাৎ করেন, তথাপিও সকল স্ত্রীলোকের মধ্যে অনেকেই ধৰ্ম্মভয়ে স্বামীর সহিত সাক্ষাৎ