পাতা:বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক বক্তৃতা.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

KOM बांश का उiबi *9 लोंईिठJ । কাব্য পরিপূর্ণ রহিয়াছে। এতদ্ব্যতীত রসভঙ্গ দোষ মেঘনাদবধ কাব্যের স্থানে স্থানে দৃষ্ট হয়। গম্ভীর বিষয় বর্ণনা কালে মাইকেল মধুসূদন “খেদাইনু” “নাদিলা ? ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করিয়া থাকেন। ইহাতে হাস্যের উদ্রেক হয় । দশরথের প্ৰেতাত্মা রামচন্দ্ৰকে সম্বোধন করিবার সময় তিনি “রামভদ্র** শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন, ইহাতে ঐ প্রকার ভাবেরই উদ্রেক হয় । দ্বিতীয় সর্গের শেষে ৰূড় থামিবার পর শান্তির অবস্থার বর্ণনার মধ্যে গৃধিনী, শকুনী ও পিশাচের পালে পালে আগমনের কথা উল্লেখিত হইয়াছে। ইহাতে বীভৎস রসের প্রবর্তন দ্বারা শান্তিরসের ভঙ্গ করা হইল। কিন্তু এই সকল ও অন্যান্য বহুবিধ দোষসত্ত্বে কে না। স্বীকার করিবে যে, মাইকেল মধুৰ সূদন একজন অসাধারণ কবি ? মেঘনাদবধ ব্যতীত বীরাঙ্গনা, চতুৰ্দশপদী-কবিতা প্ৰভৃতি তাহার অন্য সকল কবিতাও তঁহার অসাধারণ প্ৰতিভার পরিচয় প্ৰদান করিতেছে । তিনি বাঙ্গালাভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি না হউন, তিনি একজন অসাধারণ কবি, তাহার। আর সন্দেহ নাই । যখন মাইকেল মধুসূদনের কবিতা প্ৰথম প্রকাশিত হয়, তখন তঁাহার সৃষ্ট অমিত্ৰাক্ষর ছন্দ ও তঁাহার উদ্ভাবনী-শক্তির অন্যান্য প্রমাণে নিতান্ত মুগ্ধ হইয়া আমি তঁাহার অত্যন্ত পক্ষপাতী হইয়াছিলাম, কিন্তু এক্ষণে নবপ্রেমের মুগ্ধতা কমিয়াছে, এক্ষণে তঁহার দোষ সকল স্পষ্টরূপে অনুভব করিতে সমর্থ হইয়াছি * ' * এই বক্ততা করিবার পর আমি অবগত হইলাম যে, আমি উপরে যাহা বলিয়াছি, তজ্জন্য মাইকেল মধুসূদনের পক্ষ এবং বিপক্ষ উভয়