পাতা:বাঙ্গালা সাহিত্য-সংগ্রহ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১০৫ ] ইছfর মহীয়সী উৎসাহশীলতা লক্ষিত হইতেছে। যে ব্যক্তি অক্ষম, সে কখন কোন কার্য্যে স্বয়ং প্রবৃত্ত হয় না । ফলতঃ ব্রাহ্মণের অসাধ্য কাৰ্য্য ভূমণ্ডলে দৃষ্টিগোচর হয় না। অনাহার, বাল্লাহার, ফলাহার ও দৃঢ়ব্ৰত, তন্নিবন্ধন ব্রাহ্মণ দেখিতে দুর্বল হইলেও ভঁাহাদিগের অন্তঃসার ও তেজের হ্রাস হয় না । ব্ৰাহ্মণ সৎকৰ্ম্মই কৰুন অথবা অসৎ কৰ্ম্মই কৰুন তিনি কদাপি অবমানিত হয়েন না ; কারণ সুখজনক, দুঃখজনক, সামান্য ও মহৎ সমুদায় কাৰ্য্যই ব্রাহ্মণ কর্তৃকসম্পাদিত হইয়া থাকে। দেখ! জামদগ্ন্য পৃথিবীস্থ সমস্ত ক্ষত্রিয়কে পরাভব করিয়াছিলেন, অগস্ত্য স্বীয় ব্রহ্মতেজ: প্রভাবে অগাধ জলনিধি পালন করিয়াছিলেন, অতএব সকলে এই স্থানে অবস্থান করিয়া দেখ, এই ব্রাহ্মণতনয় কাৰ্ম্মকে জ্যা রোপন করিতেছে। এই কথা শুনিয়া সকলে প্রস্তাবিত বিষয়ে সম্মত হইলেন । অৰ্জ্জুন শরাসনসমীপে অচলবৎ দণ্ডায়মান হইয়া ব্ৰাহ্মণগণের কথোপকথন শ্রবণ করিলেন। অনন্তুর বরপ্রদ মহাদেবকে প্রণামপূর্বক সেই কাৰ্ম্মক প্রদক্ষিণ করিলেন। শিশুপাল, সুনীথ, রাধেয়, দুর্য্যোধন, শল্য, শালু প্রভৃতি ধনুৰ্ব্বেদপারগ নৃসিংহ সকল দৃঢ় প্রষত্ত্বেও যে ধনু সসজ্য করিতে পারেন নাই, অর্জন অবলীলাক্রমে নিমিষমধ্যে সেই শরাসনে জ্যা রোপণ