পাতা:বাঙ্গালা সাহিত্য-সংগ্রহ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৫ ] মুখ মৃত্যুভয়ে বিবৰ্ণ ; প্রত্যেকেই জানুপাত পূর্বক বক্ষস্তাড়ন করিতে করিতে উচ্চৈঃস্বরে পরমেশ্বরের নিকট রক্ষণ প্রার্থনা করিতেছে । জীবিত রক্ষণয় হতাশ্বাস ছইয়া সকলেই এইরূপ কাতর ধ্বনি করিতেছে এমন সময়ে দ্বিতীয় বার ভূকম্প আরম্ভ হইল। যদিও ঐ কম্পন অপেক্ষণকৃত অলপ ভীষণভাবে জাবিভূত হইল, তথাপি উছার আঘাত দ্বারা পতি গবশিষ্ট যাবতীয় দোলায়মান অট্টালিকাই এক কালে উন্মুলিত হইয়। পড়িল ; নগরের চতুর্দিকেই ককণ কোলাহুল উত্থিত হইল। ঐ সময়েই আবার একটা পল্লীস্থ গিজ পতিত হইয়া বহুসংখ্যক হত্তভাগ্যের অপমৃত্যু সাধন করিল। ঐ কম্পনের বেগ এরূপ তীব্র যে, কোনক্রমেই স্থির ভাবে দণ্ডায়মান থাক যায় না । ঐ সমুদ্রজল আসিতেছে, আর রক্ষা নাই, এখনই সকলকে বারি প্রবাহে নিমগ্ন হইয়া প্রাণত্যাগ করিতে ছইবে, হঠাৎ এইরূপ ভয়ঙ্কর কাত্তর ধ্বনি শুনিতে পাইলাম। অামি নদীকুলের যে স্থানে দণ্ডায়মান ছিলাম, তথায় স্বভাবতঃ নদীর বিস্তার প্রায় দুই ক্রোশ। ঐ সময়ে নদীর আকার দেখিয়া বোধ হইল যে, উছার জল অত্যন্ত স্ফীত হইয়াছে। কিন্তু তখন তথায় কিছুমাত্র বায়ুসঞ্চার ছিল না, অনতিদুরে দেখিতে পাইলাম, এক