পাতা:বাঙ্গালা সাহিত্য-সংগ্রহ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩১ ] ইলোরীর গুহা । - “ কীর্তির্যস্য স জীবতি ” এই শাস্ত্রসিদ্ধ প্রাচীন বাক্যের প্রমাণার্থে অধুনা বাক্য ব্যয় করিলে অনেকে পণ্ডশ্রম বোধ করিবেন ; পরস্তু এক তমসাবৃত গৃছে বন্ধুদ্বয় সন্নিহিত থাকিলেও পরস্পর চক্ষুষ প্রত্যক্ষবিরছে তাহাদিগের সম্বন্ধে বৰ্ত্তমান পদার্থ যেমন অবৰ্ত্তমান তুল্য হয়, অজ্ঞান তিমিরাচ্ছন্ন দেশে কীর্তিমানের কীৰ্ত্তিও তাদৃশ বিফল হয়। মিসর দেশে “পিরামিড” নামক যে কএক পঞ্চকোণাকার সমাধিস্থান আছে তৎতুল্য বৃহৎ নিৰ্ম্মাণ পৃথিবীর আর কুত্ৰাপি নাই ; অথচ মিসর-দেশীয়ের অজ্ঞানের প্রাদুর্ভাবে তৎকর্তৃদিগের নাম ও বিস্মৃত হইয়াছেন। দিল্লী নগরে কোন প্রাচীন হিন্দু রাজা লৌহময় এক অদ্বিতীয় প্রকাও জয়স্তম্ভ স্থাপন করেন। ঐ স্তম্ভ অদ্যাপিও বৰ্ত্তমান আছে, এবং তদুপরি বিবিধ অক্ষর খোদিত আছে, তদ্‌ষ্টে বোৰ ছয় যে তাছাতে ঐ স্তম্ভকৰ্ত্তার বংশাবলী কিম্বা কোনরূপ শাসন খোদিত থাকিবেক ; কিন্তু অধুনা কেছ ঐ অক্ষর পাঠ করিতে পারেন না, এবং ঐ স্তম্ভ কি নিমিত্তে ও কোন্‌ সময়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল ও কে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল তাহার কোন বিবরণ প্রচারিত নাই। বেতিয়া, বাকরা, মগধ, কান্যকুজাদি অপর অনেক স্থানেও প্রস্তরময় তদ্রুপ জয়ন্তস্ত বর্তমান আছে ; কিন্তু ভাৰ