পাতা:বাঙ্গালা সাহিত্য-সংগ্রহ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s११ ] তেজোময় কঠিন অথবা আদ্রব পদার্থ হইতেই শুভ্র ও প্রখর জ্যোতি বিনিগত হইয়া চতুঃপাশ্বে বিক্ষিপ্ত হয় । স্বৰ্য্য হইতে পৃথিবী যে তেজ প্রাপ্ত হয় তদপেক্ষা অনুান ১ ৩০, ৩. গুণ অধিক তেজ উছা হইতে নিয়ত চতুৰ্দ্দিকে বিকীর্ণ হইতেছে, তথাপি উছার অপরিমেয় তেজোরাশির কিঞ্চিম্মাত্রও হাস উপলব্ধি হয় না । কেহ কেহু অনুমান করেন, রাশি রাশি উলঙ্কা অনবরত সুৰ্যোপরি বর্ষিত হইয়া অগ্নি উৎপাদন করাতেই সোঁর তেজের হ্রাস হয় না। এক জন ইংলণ্ডদেশীয় পণ্ডিত বলেন, উল্লকবর্ষণ বশতঃই সেরি তেজের উৎপত্তি হইয়াছে বটে, কিন্তু এক্ষণে অণর উলঙ্কাপাত হয় না ; স্থৰ্য্যমণ্ডল এক্ষণে শীতল হইতেছে । জৰ্ম্মনদেলীয় কোন পণ্ডিত অনুমান করেন, স্থৰ্য্যমণ্ডল প্রথমে প্রতপ্ত বাষ্পময় পিও ছিল, এক্ষণে ক্রমশঃ শীতল সঙ্ক চিত হইতেছে। তিনি গণনা দ্বারা নিরূপণ করিয়াছেন, ১,৭০,০০,০০০ বর্ষ এইরূপে তেজ বিকীর্ণ করিলে পর স্বৰ্য্যমণ্ডলের আয়তন পৃথিবীর স্যায় হইবে। এই সৌরজগতে যে সমস্ত তেজোময় বস্তু আছে, তন্মধ্যে স্বৰ্য্যই সৰ্ব্বাপেক্ষ তেজস্ব । তাছা হইতেই আমরা তাপ ও আলোক প্রাপ্ত হুইতেছি ; কিন্তু তিনি , যে কোথা হইতে তাপ ও আলোক প্রাপ্ত হইয়াছেন, তাছা আমরা নিশ্চয় অবগত নছি। তাপ, আলোক