পাতা:বাঙ্গালা সাহিত্য-সংগ্রহ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩ ] বিচার নাই,হিতাহুিত বোধ নাই, সদসদ্বিবেচনা নাই কেবল লৌকিক রক্ষাই প্রধান কৰ্ম্ম ও পরম ধৰ্ম্ম, আর ধেন সে দেশে ছতভাগা অবলাঞ্জাতি জন্মগ্রহণ না করে । হা অবলাগণ ! তোমরা কি পাপে ভারতবর্ষে অগসিয়া জন্মগ্রহণ কর বলিতে পারি না । ধন্য রে দেশাচার ! তোর কি অনিৰ্ব্বচনীয় মছিমা তুই তোর অনুগত ভক্তদিগকে দুর্ভেদ্য-দাসত্ব-শৃঙ্খলে বদ্ধরাখিয়া কি একাধিপত্য বিস্তার করিতেছিস ! তুই ক্রমে ক্রমে আপন আধিপত্য বিস্তার করিয়া শাস্ত্রের মস্তকে পদার্পণ করিয়াছিল, ধৰ্ম্মের মৰ্ম্মভেদ করিয়াছিল, হিতাহিত বোধের গতিরোধ করিয়াছিস, ন্যায় অন্যায় বিচারের পথ ৰুদ্ধ করিয়াছিস । তোর প্রভাৰে শাস্ত্রও অশাস্ত্র বলিয়া গণ্য ছইতেছে, অশান্ত্রও শাস্ত্র বলিয়া মান্য হইতেছে। সৰ্ব্বধৰ্ম্ম বছিভূত যথেচ্ছাচারী দুরাচারেরাও তোর অনুগত থাকিয় কেবল লৌকিকরক্ষণ গুণে সৰ্ব্বত্র সাধু বলিয়া গণনীয় ও আদরণীয় হইতেছে ; আর দোষম্পর্শধূন্য-প্রকৃত-সাধুপুৰুষেরাও ভোর অনুগত না হইয়া কেবল লৌকিক রক্ষায় অষত্ব প্রকাশ ও অনাদর প্রদর্শন করিলেই সৰ্ব্বত্র নাক্তিকের শেষ, অধাৰ্ম্মিকের শেষও সর্ব দেশষে দেশৰীশ্ন শেষ বলিয়া গণনীয় ও নিন্দনীয় হইতেছেন। " - R