পাতা:বাঙ্গালা সাহিত্য-সংগ্রহ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ఆ& ] ষেকে মত্ত হইয়া সৈন্যসামন্ত সজ্জিত করিয়া জামাদিগকে ছনন করিতে আসিতেছে। তাছারই , সেনাকোলাহল শুনা যাইতেছে, অপকারী দুরাচারী ভরক্তেরে রণশায়ী করিয়া কৈকেয়ীর অশ্রুজলে ক্রোধানল । নিৰ্ব্বাণ করিব। আততায়ী দুরাত্মার বধ করিলে অধৰ্ম্ম হইবে না। এই বলিয়া কম্পিতকলেবর হইয়া তৰুস্কন্ধ হুইতে অবরোহণ করিলেন । অনস্তুর বেপমানা জনকতনয়াকে বনান্তরালে লুক্কারিত রাখিতে ধাবমান হইলেন। রামচন্দ্র লক্ষণের কোপন্মুখ মুখবিকার বিলোকন করিয়া সম্মিতবদনে বলিলেন, বৎস! ভরত তোমার কি অপ্রিয় কাৰ্য্য করিয়াছে, যে তাছার জিঘাংসায় প্রবৃত্ত হইতেছ। অসি বৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া কি হইবে ? প্রাণধিক ভরত উপস্থিত হইলে তাছার উপর কি অস্ত্রচালনা করিতে পরিবে ? সৰ্ব্বস্ব বিসর্জন দিয়া পিতৃসত্য পালন করিতে অরণ্যে আসিয়াছি ; আমার রাজ্যে, প্রয়োজন কি ? স্বাৰাদিগের মুখ স্বচ্ছন্দ জন্ত রাজ্যভার গ্রহণ করিতে হয়, তাহাদিগকে বিনাশ করিয়া রাজ্য সুখ কাহাকে ভোগ করাইব ? সৈন্ত্যেরাওত বলবিদ্যাস বা বুদ্ধ রচনা করিয়া আসিতেছে না যে, তাছাদিগকে আক্রমণকারী বোৰ করিতেছ। ভরতও খড়ঙ্গ হস্ত হইয়া তোমার জিঘাংসায় প্রবৃত্ত হইতেছে না ৰে তাহাকে আজ্ঞায়ী নিশ্চয় করিয়া হিংসার উপক্রম করিতেছ। জ্বাঞ্জারী