পাতা:বাঙ্গালা সাহিত্য-সংগ্রহ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৬ } ছইলেই কি কেছ ভ্রাতৃবধ করিয়া থাকে ? আপনার প্রাণ কি আপনি নষ্ট করিতে পারা যায় ? অামার বোধ হয়, ভ্রাতৃবৎসল ভরত মাতুলালয় হইতে আগত হইয়া আমাদিগকে না দেখিয়া পৰ্য্যাকুল হইয়া আমাদিগকে প্রত্যাবর্তন করাইবার জন্তু আসিতেছে। যদি তোমার রাজ্যে অভিলাষ হয় তবে ভরতেরে বলিয়। দিব ; সে তোমারে রাজ্য অপণ করিবে । আর যদি ক্লেশ সহ করিতে না পার, তবে এই সঙ্গে রাজধানীতে চলিয়া যাইও । আমি সীতাসহচর হুইয়া সচ্ছন্দে কানন পর্যটন করিতে পারিব। লক্ষণ ভ্রাতার কথা শুনিয়া লজ্জাবনভমুখে একদিগে দণ্ডায়মান রছিলেন । এদিকে ভরত সেনাপতিদিগকে শিবিরসন্নিবেশ পূর্বক অবস্থিতি করিতে অনুমতি দিলেন , এবং স্বয়ং কতিপয়মাত্র বনেচর সহচর লইয়া গুহক সমভিৰ্যাছারে রামচন্দ্রদিগের অন্বেষণ করিতে বলিলেন, বৎস শক্রয় ! যাবৎ রামচন্দ্রের রাজীব লোচন, লক্ষণের কোমল বদন বিলোকম করিতে না পরিব, যাবৎ অগ্রজের রাজলক্ষণ লাঞ্ছিত চাৰু চরণ মত্তকে ধারণ করিতে না পারিব ; যাবৎ জ্যেষ্ঠ মহাশয়কে রাজসিংহাসনে অম্বিরোন্ধিত করিয়া চামরগ্রাহী না হইতে পারিব, যাবৎ জনকনঙ্গিনীকে স্বীয় প্রভুর রহ্মাসনশোভিনী না দেখিতে পাইব, জবৎ আমার হৃদয়ের মৰ্ম্ম বেদনায় লাঘব ও শাম্ভি