১১২ বাঙ্গালীর গান ।
মহড়ী । কই বিপিনবিহারী বিনোদ আমার এলে না। যনেতে করিতে সে বিধুবয়ান, সখি, এ যে পাপ প্রাণ, ধৈরজ না মানে, এৰোধি কেমনে তা বল না |
চিত্তেন । সই, হেরি ধারাপথ থাকয়ে যেমত,
তৃষিত চাতক জন । আমি সেই মত হয়ে, আছি পথ চেয়ে, মানসে করি সেরূপ ভাবন ॥
আন্তর । হায়, কি হবে সজনি, যায় যে রজনী,
কেন চক্রপাণি এখনো । না এলো এ কুঞ্জে, কোথ মুখ ভুঞ্জে,
রছিল না জানি কারণে ॥ পরচিতেন ।
বিগলিত পত্রে, চমকিত চিত্তে, হোতেছে স্থির মানে না। যেন এলে এলো হরি, হেন জ্ঞান করি, মা এলে মুরারি, পাই যাতন ॥
অন্তরা । সই, রবিকিরণের প্রায় হিমকর, এ তনু আমারো দহিছে। শিখিপিক-রব, অঙ্গে মোর সব,
বজাবাত সম বাজিছে ৷
পরচিতেন। সই, করিয়ে সঙ্কেত, হরি কেন এত,
করিলেকে প্রবঞ্চন । আমি বরঞ্চ গরল, ভকি সেও ভাল, কি ফল বিফলে কালযাপন ৷
অন্তরা । সই দেখ নিজ করে, প্রাণপণ কোরে, গাথিলামৃ এ কুসুমহার। একি নিরানন্দ, বিনে সে গোবিন্দ, হেন মালা গলে দিব কার ॥
পরচিত্তেম। সই খেদে ফটে হিয়ে করে মুখ চেয়ে, রহিব অবল জনা ।
আমি শুম অন্বেষণে, পাঠালাম মনে, তার সঙ্গে কেন প্রাণ গেল না |
கற
মহড়া । কদম্বতলে কে গো বংশী বাজায় ।
এতদিনো আসি যমুনাজলে, আমি এমন মোহন মুরতি কখন,
দেখিনি এসে হেথায় ॥
চিতেল । অঙ্গ অগোরচন্দনচচ্চিত, বনমালা গলায়। গুঞ্জ বকুলের মালে, বাধিয়াছে চুড়,
ভ্রমর গুঞ্জরে তায় ॥
অন্তর } সই, সজল নবজলদ বরণ, ধরি নটবর বেশ ।
চরণ উপরে খুয়েছে চরণ, এই কি রসিক শেষ ॥
চিত্তেন। চন্দ্র চমকে চলিতে চরণ, নখরের ছটায় আমার হেন লয় মন, জীবন যৌবন সঁপিব ও রাঙ্গ পায় ॥
অন্তর । হায়, অনুপম রূপমাধুরী সখি,
হেরিলাম কি ক্ষণে ।
প্রাণ নিলে হোরে, ঈষতো হেসে বঙ্কিম-নয়নে।
চিতেন । মন্দ মধুর মুচকি হাসি চপলা চমকায়। কুলবতীর কুলে, শীলো গেলো গেলে, মন মজিলে হেরে উহায় ॥
অন্তরা । সই, অলকা আবৃত বদন, তাহে মৃগমদতিলক । মনোহর সাজ, নাসাগ্রেতে গজমুকুতার ঝলক ॥ পরচিতেন । বিম্ব অধরে অর্পে বেণু, সে রবে ধেনু চরায়। কিবে সুন্দর সুঠাম, ত্রিভঙ্গ ভঙ্গিম, রূপে ভুবন ভুলায় ॥ অম্ভর । সই, বেষ্টিত বজ্রবালক সবে, কি শোভা আমরি হয়।
পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
