ঝাঁসীর রাণীর জন্মদিবস উপলক্ষে সিঙ্গাপুরে এই বাহিনীর গঠন মূলক কার্য্য আরম্ভ হয় এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করিয়া ও জাতীয় সঙ্গীত গান করিয়া এই বাহিনীর উদ্বোধন করা হয়। সকল ধর্ম্মের শিক্ষিত অশিক্ষিত ধনী নির্ধন স্বেচ্ছাসেবিকা আসিয়া এই বাহিনীতে যোগদান করে। ক্যাপ্টেন লক্ষী স্বামীনাথম্ উক্ত বাহিনীর সৈন্যাধ্যক্ষ ছিলেন। আজাদ গভর্ণমেণ্টের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করা ও সাধারণ সেবা শুশ্রূষা করা ব্যতীত স্বাস্থ্যবতী স্ত্রীলোকদিগকে যুদ্ধ বিভাগেও নিয়োগ করা হইত।
আজাদ হিন্দের অন্যান্য বিভাগের ন্যায় এই সেনাবাহিনী সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছিল। ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ইহার শিক্ষা শিবির ও কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
বিস্তৃত প্রাঙ্গণে সমবেত হইয়া এবং জাতীয় বাহিনীর পোষাকে সজ্জিত হইয়া এই নারীবাহিনী প্রত্যহ সকালে সমস্বরে প্রার্থনা করিত এবং নেতার প্রতি আস্থা রাখিয়া আমরণ দেশ সেবা করিবার সংকল্প গ্রহণ করিত। কঠোর দায়িত্বপূর্ণ কার্য্যের কথা স্মরণ করিয়া এবং প্রত্যহ নূতন করিয়া স্বাধীনতার সংকল্পবাণী গ্রহণ করিয়া এই সৈন্যবাহিনী দৈনন্দিন কার্য্যে যোগদান করিত
শিক্ষা
উপযুক্ত শিক্ষা প্রাপ্ত হইলে নারীগণকে এই বাহিনীর অন্তর্ভূক্ত করা হইত। ইহাদিগকে অঙ্গচালনা, কুচকাওয়াজ,