পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৭
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

 কিরূপ মহান্ আদর্শে অনুপ্রাণিত হইয়া শত সহস্র নারী আপন আপন গৃহ পিতামাতা পুত্রসন্তান এবং সুখ সম্ভোগ বিসর্জ্জন দিয়া কঠোর জীবন যাপন করিতে পারে তাই ভাবিলে বিস্মিত হইতে হয়। ভীতি প্রদর্শন বা বলপ্রয়োগ দ্বারা যে এই নারীগণকে এই কার্য্যে নিয়োগ করা হয় নাই তাহা বলাই বাহুল্য। তাহাদের এই মহান্ স্বার্থত্যাগ যে বৃথা হইবে না এই মনোবৃত্তি লইয়াই তাহারা নারীবাহিনীতে যোগদান করিয়াছিল। তাহারা কখনও মনে করে নাই যে ভবিষ্যৎ ইতিহাসে তাহাদের মহীয়সী কীর্ত্তি অক্ষয় হইয়া থাকিবে।

 গোবিন্দরাও নামক জাতীয় বাহিনীর জনৈক সেনানী এই নারীবাহিনীর শৌর্য্য বীর্য্য সম্বন্ধে যে একটি দৃষ্টান্ত দিয়াছেন তাহার উল্লেখ করিয়া এই প্রবন্ধের উপসংহার করা যাইতে পারে।

 মিত্র-সৈন্য ব্রহ্মদেশ জয় করিবার জন্য যখন অগণিত সৈন্য এবং অপর্য্যাপ্ত রণসম্ভার লইয়া অগ্রসর হইতে থাকে, সেই সময়ে মৌলমেনের নিকটে এই নারী বাহিনীর সহিত তাহাদের প্রচণ্ড সংঘর্ষ উপস্থিত হয়। যে সময়ে মিত্র শক্তি বড় বড় কামান বন্দুক ট্যাঙ্ক প্রভৃতির সাহায্যে শত্রুসৈন্য ধ্বংশ করিতে উদ্যত, সেই সময়ে এই নারীবাহিনী কেবলমাত্র রাইফেল ও গুলির সাহায্যে যুদ্ধ করিয়াছিল। পরিশেষে এই সৈন্যগণ পশ্চাদপসরণ করিতে বাধ্য হইলেও ইহাদের বীরত্ব-কাহিনী ইতিহাসের পৃষ্ঠায় চিরদিন অঙ্কিত থাকিবে।

 আর এক কথা—ভারতীয়গণের অর্থ, ভারতবাসীর বুদ্ধি এবং