পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৯
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। কর্ণেল লোকনাথন সহিদ ও স্বরাজ দ্বীপের প্রথম চিফকমিশনার নিযুক্ত হইলেন।

আজাদ হিন্দ ব্যাঙ্ক।

 ১৯৪৪ সালের ৫ই এপ্রেল নেতাজী সীমান্ত প্রদেশের যুদ্ধ ক্ষেত্রে গমন করেন। রেঙ্গুণ হইতে যাত্রা করিবার কয়েক ঘণ্টা পূর্ব্বে চারিজন স্বদেশহিতৈষী ব্যক্তির সাহায্যে তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যে আজাদ হিন্দ ব্যাঙ্ক স্থাপন করিলেন। প্রথমতঃ এক কোটী টাকা মূলধন লইয়া এই ব্যাঙ্কের কার্য্য আরম্ভ হইল। পরিশেষে ইহার কার্য্যবৃদ্ধি হইবার সঙ্গে সঙ্গে রেঙ্গুণের সহরতলীতে দুইটি এবং টঙ্গি (Taunggy) নামক স্থানে একটি মোট তিনটি শাখাও স্থাপিত হইল। হবিব সাহেব নামে ব্রহ্মের একজন স্বদেশপ্রেমিক এবং শ্রীমতী হীরাবাঈ বেতাই নামে একজন ধনাঢ্যা রমণী তাঁহাদের সঞ্চিত সমস্ত অর্থ এই স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনা করিবার জন্য নেতাজীর হস্তে সমর্পণ করিয়াছিলেন। হবিব সাহেবের ধনসম্পত্তি এক কোটী টাকার উপর ছিল। এই দুই মহাপ্রাণ ব্যক্তির দৃষ্টান্তে অনুপ্রাণিত হইয়া ব্রহ্মদেশের অন্যান্য ভারতীয়গণ এই ব্যাঙ্কের ধন ভাণ্ডারে কোটী কোটী টাকা দান করিয়াছিলেন। পরে নেতাজী এই সকল স্বার্থত্যাগী এবং স্বদেশহিতৈষী ব্যক্তিগণকে সেবকই-হিন্দ উপাধিতে ভূষিত করিয়াছিলেন।

 আজাদহিন্দ ব্যাঙ্ক রেঙ্গুণের ৯৪ নং পার্করোডে অবস্থিত ছিল।