পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
১১০

ইহা ব্রহ্মদেশীয় আইনানুসারে রেজিষ্টারি করা হয়। এই ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠার পূর্ব্বে উক্ত প্রদেশে নেতাজী ভাণ্ডার (Nataji Fund) নামে একটি ধনভাণ্ডার খোলা হইয়াছিল। অস্থায়ী স্বাধীন গভর্ণমেণ্টের জন্য জনসাধারণের নিকট হইতে অর্থ সংগ্রহ করাই এই ব্যাঙ্কের উদ্দেশ্য ছিল।

 এই উপায়ে ব্রহ্মদেশে ১৫ কোটী এবং মালয়ে ৫ কোটী একুনে ২০ কোটী টাকা চাঁদা সংগৃহীত হইয়াছিল। আজাদ গভর্ণমেণ্টের টাকা ভিন্ন জন সাধারণের টাকাও এই ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখা হইত। ঐ টাকার পরিমাণ ৩০।৪০ লক্ষ হইবে। ১৯৪৫ সালের মে মাস পর্য্যন্ত এই ব্যাঙ্কের কাজ চলিয়াছিল। ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট রেঙ্গুণ উদ্ধার করিবার সঙ্গে সঙ্গেই ইহার কাজ বন্দ হইয়া যায়। বন্দের সময়ে ব্যঙ্কে ৩৫ লক্ষ টাকা জমা ছিল।

 নেতাজীর প্রতিষ্ঠিত আজাদ-হিন্দ ব্যাঙ্ক সম্বন্ধে সুবিখ্যাত দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা বিগত ২১শে ফেব্রুয়ারি তারিখে যে একটি মনোজ্ঞ বিবরণ প্রকাশ করিয়াছেন, পাঠক পাঠিকাগণের অবগতির জন্য তাহা নিম্নে উদ্ধৃত হইল।

 ব্রহ্মদেশে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন তহবিলে যাঁহারা অর্থদান করিয়াছেন, শ্রীযুক্তা হীরাবাঈ বেতাই তাঁহাদের মধ্যে সর্ব্বশ্রেষ্ঠ মহিলা দাতা। তিনি বহু লক্ষ টাকার সোণা রূপা হীরক প্রভৃতির গহনা ও নগদ ৫১০০০ টাকা উক্ত ভাণ্ডারে দান করিয়াছেন, এবং ব্রহ্মদেশে রাণী ঝাঁসী বাহিনী গঠন করিবার জন্য বহু অর্থ সাহায্য করিয়াছেন। ভারতীয় স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠানের