পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
১১৪

ইহার আয়তন ৫০ বর্গমাইল। এই জমিদারী অস্থায়ী স্বাধীন গভর্নমেণ্টের অধীন ছিল। ইহার মধ্যে সুবৃহৎ চিনির কারখানা, পশমি সুতা, কম্বল এবং চটের কারখানা ছিল। অস্থায়ী গভর্ণমেণ্ট এখানে কয়েকটি হাসপাতাল স্থাপন করিয়াছিলেন। এখানকার ১৫০০০ ভারতবাসীর মধ্যে অনেকেই এই সকল কারখানার কার্য্যে লিপ্ত ছিল। এই অনতিবৃহৎ সম্পত্তির আয় অস্থায়ী স্বাধীন গভর্নমেণ্ট গ্রহণ করিতেন এবং ইচ্ছামত ব্যয় করিতেন।


আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান।

 আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ অস্থায়ী স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভূক্ত হইবার অল্পদিন পরেই জাতীয় বাহিনী সিঙ্গাপুর ও মালয় পরিত্যাগ করিয়া ব্রহ্ম সীমান্তের অভিমুখে যাত্রা করে। অতঃপর আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টের প্রধান কেন্দ্র ব্রহ্মদেশে লইয়া যাওয়া হইল। ১৯৪৪ সালের ৪টা ফেব্রুয়ারি এই জাতীয় বাহিনী ভারতের স্বাধীনতা লাভের জন্য আরাকান প্রদেশে প্রথম আগ্নেয়াস্ত্র (গোলাগুলি) বর্ষণ করে। প্রকৃতপক্ষে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সৈন্য বাহিনী এই দিন অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষালাভ করিয়াছিল। ভারতের ইতিহাসে ইহা একটি স্মরণীয় দিন বলিয়া গণ্য হইবে। এই যুদ্ধে কৃতিত্ব দেখাইয়া মেজর মিশ্র উপরিতন সেনানায়কের নিকট হইতে সন্মান লাভ করিয়াছিলেন।