পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
১১৬

ত্যাগ করিলেই, এ যাত্রা শেষ হইতে পারে, কিন্তু তাহার পূর্ব্বে নহে। দিল্লীর বড়লাট ভবনে যেদিন আমাদের জাতীয় পতাকা সগৌরবে উড়িতে থাকিবে এবং যেদিন ভারতের মুক্তি ফৌজ প্রাচীন লালকেল্লার অভ্যন্তরে বিজয় উৎসবে মাতিয়া উঠিতে পারিবে—কেবলমাত্র সেইদিনই এ অভিযানের শেষ হইবে।”

—সুভাষচন্দ্র বসুর নির্দ্দেশনামা।

 অবশেষে জাতীয় বাহিনী সীমান্ত প্রদেশ অতিক্রম করিয়া ১৯ শে মার্চ্চ তারিখে ভারত ভূমিতে পদার্পণ করিতে সমর্থ হইল। এই সৈন্যগণের শৌর্য্য, বীর্য্য, কষ্ট-সহিষ্ণুতা ও স্বার্থত্যাগ দেখিয়া পূর্ব্ব এশিয়ার ৩০ লক্ষ প্রবাসী ভারত-সন্তান বিস্ময়াবিষ্ট হইয়া তাহাদের জয়গান করিতে লাগিল।

ইনফল আক্রমণ

 ইনফল মণিপুরের রাজধানী। ১৯৪৪ সালের ১৮ই মার্চ্চ তারিখে আজাদ হিন্দ ফৌজ ব্রহ্মদেশ হইতে মণিপুরে প্রথম পদার্পণ করে। ভারত আক্রমণকারী বাহিনীতে প্রধানতঃ তিনটি ব্রিগেড ছিল। কর্ণেল শাহ-নওয়াজের নেতৃত্বে ছিল “সুভাষ, ব্রিগেড”—উহার সৈন্য সংখ্যা ৬২০০ জন। কর্ণেল ইনায়ৎ কয়ানীর নেতৃত্বে ছিল “গান্ধী ব্রিগেড”—উহার সৈন্য সংখ্যা ২৮০০ জন। কর্ণেল মোহন সিংএর নেতৃত্বে ছিল “আজাদ ব্রিগ্রেড”—উহার সৈন্য সংখ্যা ২৮০০ জন। এতদ্ভিন্ন আরও সহস্রাধিক ফৌজ