পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
১১৮

ইনফল-কোহিমা অঞ্চলের কতকাংশ ব্রিটিশ অধিকার হইতে মুক্ত করিতে সক্ষম হয় এবং তৎকালে ব্রিটিশ বাহিনীর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক হইয়া পড়ে। কিন্তু তথাপি ব্রিটিশ বাহিনী যুদ্ধে বিরত হয় নাই। ইতিমধ্যে তাহাদের প্রচুর পরিমাণে বিমান সাহায্য আসিয়া উপস্থিত হইল। বর্ত্তমান যুদ্ধ বাহুবলের যুদ্ধ নয়—বিমান বহরই যুদ্ধের প্রধান অবলম্বন। উপর হইতে বৃষ্টিধারার মত বোমা বর্ষণে আজাদ বাহিনী আর স্থির থাকিতে পারিল না। জাপান হইতে বিমান বহর আসিবে এই আশায় তাহারা কিয়ৎকাল অপেক্ষা করিয়া অবশেষে পশ্চাদপসরণ করিবার সংকল্প করিল।

 অভিযান আরম্ভ হইবার পূর্ব্বে জাপ গভর্ণমেণ্টের সহিত সুভাষচন্দ্রের চুক্তি হইয়াছিল যে ভারতের এলাকায় যে সমস্ত ভূভাগ ব্রিটিশ অধিকার হইতে উদ্ধার করা হইবে তাহার সমস্তই আজাদ গভর্ণমেণ্টকে ছাড়িয়া দিতে হইবে। ইহার ফলে মণিপুরে প্রায় ১৫ শত বর্গ মাইল ভূমি আজাদ হিন্দ সরকারের অধিকারে আসিল। কর্ণেল এ. সি. চ্যাটার্জি মুক্ত ভারতের গভর্নর নিযুক্ত হইয়াছিলেন। দেশ শাসনের ভার মেজর কিয়ানীর উপর ন্যস্ত হইয়াছিল।

ইনফল হইতে পশ্চাদপসরণ

 ভারতীয় সেনা বাহিনীর দুর্ভাগ্যক্রমে এই সময়ে বর্ষাকাল উপস্থিত হইল। রসদ ও সমরোপকরণ আসিবার রাস্তাগুলি