পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

নূতনত্বে পর্য্যবসিত করিয়া নবযুগের সূচনা করিয়া দেন। সুভাষচন্দ্রকে এই যুগপ্রবর্তক ঋষি আখ্যা না দিলে সত্যের অপলাপ করা হইবে। বস্তুতঃ সুভাষচন্দ্রের সমগ্র জীবনের কার্য্যাবলি পর্যালোচনা করিলে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়, তিনি যেন আলোকবর্তিকা হস্তে ধারণ করিয়া ভারতের নেতৃবৃন্দের পুরোভাগে গমন করিয়াছেন এবং দেশ-মাতৃকাকে দাসত্ব-শৃঙ্খল হইতে মুক্ত করিবার প্রকৃষ্টতম উপায় নির্ধারণ করিয়া দিয়াছেন।


স্বাধীনতার মূল্য
“জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী”

 রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সুরেন্দ্রনাথ ও বিপিনচন্দ্র এবং ধর্ম্মনীতি প্রচারে কেশবচন্দ্র ও স্বামী বিবেকানন্দ প্রভৃতি মনীষীগণ বাঙ্গালাদেশের অলঙ্কার, একথা শুধু আমাদের দেশে নয়, সুদূর পাশ্চাত্যদেশের বিদ্যম্মুণ্ডলীও স্বীকার করিয়া থাকেন। সুভাষবাবুর বক্তৃতায় আমরা সুরেন্দ্রনাথ বা বিপিনচন্দ্রের eloquence বা বাক্‌পটুতা দেখিতে পাই না একথা সত্য বটে, কিন্তু তাহার বক্তৃতায় যে মাদকতার সঞ্চার হয়, তাহা অন্য কোথাও দেখিতে পাই না। শব্দসম্পদে নেতাজী সুরেন্দ্রনাথ বা বিপিন চন্দ্রের তুল্য না হইলেও তাঁহার সরল বাক্যবিন্যাসে এমন মোহিনী