পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
১২০

 ব্রহ্ম ও রেঙ্গুনের ভারতীয়গণ এই সকল ব্যাপারে বিন্দুমাত্র বিচলিত হইল না। তাহারা অর্থ ও সৈন্য দিয়া এমন কি শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়া যুদ্ধের ফলাফল দেখিবে এইরূপ স্থির করিল। প্রতি মাসের ২১শে তারিখে তাহারা “অস্থায়ী গভর্নমেণ্ট দিবস” পালন করিয়া আনন্দোৎসব কবিতে লাগিল। ৪টা হইতে ১১ই জুলাই পর্য্যন্ত “নেতাজী-সপ্তাহ”, ১৮ই অক্টোবর হইতে ২৪শে অক্টোবর পর্য্যন্ত “অস্থায়ী গভর্নমেণ্ট বার্ষিকী দিবস” এবং ২৩শে জানুয়ারী হইতে ২৯শে জানুয়াবি পর্য্যন্ত “নেতাজী জয়ন্তী” পালন করিয়া তাহারা নেতাজীর প্রতি ভক্তির পরাকাষ্ঠা দেখাইতে লাগিল।

 ইনফল অভিযান ব্যর্থ হইলেও আজাদ হিন্দ ফৌজের মনোবল নষ্ট হয় নাই। কিন্তু মণিপুর যুদ্ধের ব্যর্থতার ফলে জাপান বাহিনী একেবারেই নিরুৎসাহ হইয়া পড়িল। ১৯৪৫ সালের ৮ই মার্চ্চ তারিখে মিত্র সৈন্য মান্দালাই সহরে প্রবেশ করে এবং ২০শে মার্চ্চ মান্দালাই সম্পূর্ণরূপে অধিকার করে। অতঃপর রেঙ্গুনের ৫০ মাইল উত্তরে মিত্র সেনার সহিত জাপ সৈন্যের যে যুদ্ধ হইল, তাহাতে জাপানীরা সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হইল। আজাদ হিন্দ স্যৈগণ অনন্যোপায় হইয়া একে একে আত্মসমর্পণ করিতে লাগিল, যাহারা যুদ্ধে বিরত হইল না তাহাদের অধিকাংশই মিত্রপক্ষের হস্তে বন্দী হইল।