পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

শক্তি আছে, যাহা শ্রোতৃগণকে আত্মহারা করিয়া ফেলে। তাহারা যেন কোন এক অজানা রাজ্যে গিয়া পড়েন। যিনি মানব মনের উপরে এরূপ প্রভাব বিস্তার করিতে পারেন, তিনি অসাধ্য সাধন করিতে পারেন। শাস্ত্র বলেন ‘শব্দ ব্রহ্ম'। এক একটি শব্দে এক একটি অক্ষরের মধ্যে সাধারণ মানবের জ্ঞানরাজ্যের অতীত যে কত শক্তি নিহিত আছে, তাহা ভাষায় প্রকাশ করা সহজ নহে।

 সুরেন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দ বা সুভাষচন্দ্র ক্ষণজন্মা পুরুষ। বাঙ্গালী জাতির পুণ্যফলে এরূপ অসাধারণ ধীশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তি বাঙ্গালা দেশে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। সুরেন্দ্র নাথের বক্তৃতা শুনিয়া আমাদের দেশের দরিদ্র জনসাধারণের মধ্য হইতে অল্পদিনের মধ্যেই ‘ফেডারেশন হল’ এর জন্য লক্ষ টাকা চাঁদা সংগৃহীত হইয়াছিল। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময়ে এই বিশ্ববিত বক্তাই বড়লাট লর্ড কার্জনের ‘বঙ্গবিভাগ’ (Partition of Bengal) রূপ নির্দ্ধারিত বিষয়কে (Settled fact) রহিত (Unsettled) করিয়া দিয়াছিলেন। আবার দেখিতে পাই, স্বামী বিবেকানন্দের এক একটি বক্তৃতা শুনিয়া আমেরিকার কোটিপতিগণ। তাঁহাদের যুগযুগান্তরের সঞ্চিত অর্থরাশি তাঁহার পদতলে অর্ঘ্য দিয়া তাহার শিষ্যত্ব গ্রহণ করিয়াছিলেন।

 নেতাজী সুভাষচন্দ্রের বক্তৃতায় এই মাদকতা পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান আছে। বক্তৃতামঞ্চে উঠিলে তাঁহার বীরত্ব ব্যঞ্জক অথচ