পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
১৩০

গভর্নমেণ্ট ও আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিবার পরে তিনি দুই ঘণ্টার অধিক নিদ্রা যাইতেন না।

 (২) দিল্লীর কারাগার হইতে জাতীয় বাহিনীর সদ্য মুক্ত কয়েকজন সৈনিক নেতাজীর বিশিষ্টতা সম্বন্ধে অপর একটি বিবরণ প্রকাশ করিয়াছেন, তাহা হইতে জানা যায় যে তিনি রণসাজে সজ্জিত না হইয়া কখনও বাহির হইতেন না। এতদ্ভিন্ন একখানি তরবারি, একটি বন্দুক এবং দশদিনের খাদ্য সে সময়ে তাঁহার সঙ্গে থাকিত। মন্ত্রীগণ তাঁহার অনুগামী হইতেন। এইরূপে সজ্জিত হইয়া তিনি কখনও কখনও অতর্কিতভাবে তাঁহার পদাতিক সেনানিবাসে উপস্থিত হইয়া তাঁহাদিগকে বিস্ময়াবিষ্ট করিয়া দিতেন।

 (৩) স্বাধীন ভারত অস্থায়ী গভর্ণমেণ্টের সভাপতিরূপে নেতাজী যখন নিরতিশয় উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সহিত কালযাপন করিতেছিলেন, সেই সঙ্কট জনক মুহূর্ত্তেও তিনি কিরূপ সহৃদয়তা ও মহানুভবতার পরিচয় দিয়াছেন, তাহার একটি মনোজ্ঞ বিবরণ প্রকাশিত হইয়াছে। তাঁহার একজন দেহরক্ষী ইউনাইটেড প্রেসের প্রতিনিধির নিকট এই ঘটনাটি বিবৃত করিয়াছেন।

 সুভাষচন্দ্রের গৃহপালিত এক বানর-দম্পতী ছিল। তিনি কয়েকটি পারাবত ও একটি কুকুরও পুষিয়াছিলেন। পশুপক্ষিগণের মধ্যে উক্ত বানর-দম্পতী তাঁহার সর্ব্বাপেক্ষা প্রিয় ছিল। তিনি স্বহস্তে তাহাদিগকে আহার করাইতেন এবং তাহারা পীড়িত হইলে তিনি স্বহস্তে তাহাদের সেবা শুশ্রুষা করিতেন।