পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৫
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

পারে। ভারতীয় জাতীয় গভর্ণমেণ্ট ও ভারতীয় জাতীয় বাহিনী গঠন ও তাহাদের বীরত্বপূর্ণ কার্য্যকলাপ সমস্তই ভারতের স্বাধীনতা লাভের কর্ম্মসূচির অন্তর্গত। তিনি তাঁহার এই প্রথম উদ্যমে সাফল্য লাভ করিতে পারেন নাই। এরূপ ব্যর্থতা ইতিহাসে অনেক দেখিতে পাওয়া যায়, কিন্তু এই ব্যর্থতাই অনেক সময়ে সফলতার গৌরবে মণ্ডিত হইয়া থাকে।

 জাপানের বিখ্যাত সংবাদপত্র সম্পাদক C. Haziwara আমেরিকার ইউনাইটেড প্রেসের প্রতিনিধিকে বলিয়াছিলেন—

 সুভাষবাবুর চরিত্রে ভাব-প্রবণতা এবং বিবেক এতদুভয়ের যেরূপ সমন্বয় দৃষ্ট হয়, সেরূপ সচরাচর আর কোথাও দৃষ্ট হয় না। সুভাষবাবু বলিতেন তাঁহার এবং মহাত্মা গান্ধীর গন্তব্য স্থল একই, কিন্তু উভয়ের পথ বিভিন্ন। ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিবার জন্য সুভাষবাবুর সহিত মিলিত হওয়া মহাত্মা গান্ধীর একেবারেই ইচ্ছা ছিল না।

 সম্পাদক মহাশয় রেঙ্গুন, ব্যাঙ্কক, সিঙ্গাপুর এবং ম্যানিল্লা এই চারিটি সংবাদপত্র সম্মেলনে সুভাষবাবুর সহিত মিলিত হইয়াছিলেন। সুভাষবাবু যে একজন ধীশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তি এ ধারণা তাঁহার বদ্ধমূল হইয়াছে।

 তিনি আরও বলেন আই. এন. এর জনৈক সৈনিক কয়েকটি আভ্যন্তরিক সংবাদ সংগ্রহ করিবার জন্য ভারতে আসিয়া অবগত হইয়াছিলেন, সুভাযবাবু সিঙ্গাপুর হইতে রেডিও যোগে যে বক্তৃতা করিতেন, ভারতরক্ষা আইনানুসারে তাহা শ্রবণ করা আইন-বিরুদ্ধ