পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

সৌম্যমূত্তি দেখিয়া শ্রোতৃগণ মনে মনে তাহার প্রতি আকৃষ্ট হইয়া পড়েন এবং তাঁহার বক্তৃতা শুনিয়া বুঝিতে পারেন, স্বাধীনতাই মানবের সনাতন ধর্ম্ম—শুধু মানবের কেন সমগ্র জীবজগতে আমরা কি দেখিতে পাই? বনের পশু হইতে আকাশচারি বিহঙ্গমগণও স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করিতে সর্বদাই উৎসুক।

 এই অপার্থিব সুখের নিকট কুবেরের ধনভাণ্ডার অতি তুচ্ছ বলিয়া প্রতিপন্ন হয়। তাই স্বাধীনতা-যজ্ঞের এই ঋষি যখন উদাত্তস্বরে এই মহান্ সত্য প্রচার করিতে আরম্ভ করেন লোকে তখন তাঁহার পদতলে যথাসর্বস্ব বিসর্জন দিতে কুষ্ঠিত হয় না। এক একটি সভার সভাপতিরূপে সুভাষবাবু যে পুষ্পমাল্য পাইয়াছেন, লক্ষ লক্ষ টাকায় সেই সকল মাল্য বিক্রীত হইয়াছে। ‘আজাদ হিন্দ’ ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর শ্রীযুক্ত দীননাথের বর্ণিত বিবরণ হইতে জানা গিয়াছে যে পূর্ব এশিয়ায় কয়েকটি রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়া তিনি যে পুষ্পমাল্য পাইয়াছিলেন, বার লক্ষ টাকা দিয়া তাঁহার ভক্তগণ সেইগুলি ক্রয় করিয়াছে।

 সুভাষবাবুর এই বক্তৃতা সুদূর ব্রহ্ম, মালয় প্রভৃতি দেশে কিরূপ ফলপ্রসূ হইয়াছিল তাহা তাহার জাতীয় বাহিনী গঠনের ইতিহাস পাঠ করিলেই বুঝিতে পারা যায়। নেতাজীর উদ্দীপনাময়ী কয়েকটী বক্তৃতা শুনিয়াই প্রবাসী ভারতীয়গণ তাঁহাদের ধনভাণ্ডার এই আজন্ম ঋষির পদতলে উপহার