পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
১০

দিয়াছিলেন। ইহার ফলে অনতিকালমধ্যে ২০ কোটী টাকা সংগৃহীত হইয়া আজাদ হিন্দ ব্যাঙ্ক স্থাপিত হইয়াছিল।

 চারণ কবি রঙ্গলাল গাহিয়াছিলেন—

কোটা কল্পদাস থাকা নরকের প্রায় হে
নরকের প্রায়।
দিনেকের স্বাধীনতা স্বর্গসুখ তায় হে
স্বর্গসুখ তায়।।

 রঙ্গলালের এই সমর-সঙ্গীত সুভাষচন্দ্রই শুনিয়াছিলেন। এই নিনাদ “কানের ভিতর দিয়া তাহার মরমে পশিয়াছিল।” তাই স্বপ্নবিষ্টের ন্যায়-উন্মাদের ন্যায় তিনি একদিন তাহার সাধের জন্মভূমি ত্যাগ করিয়া নিরুদ্দেশ যাত্রা করিলেন—যদি দেশমাতৃবাকে দাসত্ব-শৃঙ্খল হইতে মুক্ত করিতে পারেন। স্বাধীনতা মন্তের উপাসক ইটালির উদ্ধারকর্ত্তা ম্যাটসিনি বলিয়াছিলেন, “আত্মনির্ভরশীল না হইলে কোনও জাতিই স্বাধীন হইতে পারে না।” সুভাষচন্দ্র দেখাইয়াছেন, আত্মনির্ভরশীল হইয়া একজন মানুষ কিরূপ অসাধ্য সাধন করিতে পারে। জন্মভূমি ত্যাগ করিবার সময়ে তিনি লোকবল বা অর্থবলের প্রত্যাশা করেন নাই, অথচ বিদেশে গিয়া স্বীয় প্রতিভাবলে সৈন্যবল ও অর্থবল উভয়ই সংগ্রহ করিয়াছিলেন, এবং পরিশেষে রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়া কবি রঙ্গলালের স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করিয়াছিলেন। তিনি তাঁহার সদ্যগঠিত ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর সাহায্যে