পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

সভায় অদৃশ্য আলোক সম্বন্ধে তিনি যে বক্তৃতা দেন তাহা শুনিয়া তত্রত্য প্রধান বৈজ্ঞানিকগণ শতমুখে এই বাঙ্গালী যুবকের যশোগান করিয়াছিলেন। বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক লর্ড কেলভিন এবং অলিভার লজ জগদীশচন্দ্রকে বিলাতেই অধ্যাপকের পদ গ্রহণ করিতে অনুরোধ করিয়াছিলেন।

 প্যারিসে আন্তর্জ্জাতিক (international) কংগ্রেসের অধিবেশন উপলক্ষে তিনি একটি সারগর্ভ বক্তৃতা দিয়াছিলেন। বক্তৃতার বিষয় ছিল “জীব ও জড় পদার্থের উপর বৈদ্যুতিক সাড়ার সমত্ব।” জার্মাণ, ফরাসী, ইংরাজ, ইতালি প্রভৃতি পাশ্চাত্য দেশের বহু পণ্ডিতমণ্ডলীর সভায় বক্তৃতা দিয়া আত্মপ্রতিষ্ঠা স্থাপন করিয়াছিলেন জগৎপ্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক ডাক্তার জগদীশচন্দ্র বোস। সেদিন বাঙ্গলার গৌরব জগদীশচন্দ্র জন্মভূমির মৃতপ্রায় শরীরে সঞ্জীবনী-সুধা বর্ষণ করিয়া নব জীবন সঞ্চার করিয়াছিলেন।

 ভারতের পূর্ব্বতন গভর্ণর জেনারল লর্ড হার্ডিঞ্জ ১৯১৩ সালে বিলাত হইতে জগদীশচন্দ্রকে লিখিয়াছিলেন, “আমার অত্যন্ত আনন্দের বিষয় এই যে সমগ্র ইউরোপের গবেষণা কার্যে শীর্ষস্থান অধিকার করিয়াছেন ভারতের একজন শ্রেষ্ঠ সন্তান। ইহাতে ভারতের গৌরব বহু পরিমাণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছে!”

 ঋষিকল্প মহাপুরুষ অধ্যাপক প্রফুল্লচন্দ্র রায় বিজ্ঞানের গবেষণায় জগদ্বিখ্যাত হইয়াছেন। রসায়ন জগতে তাহার দান অমূল্য একথা সুধীগণ সকলেই স্বীকার করিয়া থাকেন। প্রফুল্লচন্দ্রের প্রণীত “হিন্দু রসায়নের ইতিহাস” রসায়ন শাস্ত্র