পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
১৪

সম্বন্ধে যুগান্তর উপস্থিত করিয়াছে। হিন্দু আয়ুর্ব্বেদ, চরক, সুশ্রুত, বাগভট, বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, ইতিহাস, কাব্য, দর্শন প্রভৃতি মন্থন করিয়া তিনি এই অভিনব গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন। এই গ্রন্থ প্রণয়নের সঙ্গে সঙ্গে তাঁহার যশঃ দিগদিগন্তে ছড়াইয়া পড়িয়াছে।

 বহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের বিশ্ব-বিমোহিনী বক্তৃতা শ্রবণ করিয়া একসময়ে ইংলণ্ডের জনসাধারণ বিস্ময়াভিভূত হইয়াছিল। তত্রত্য বিদ্বান ও ধার্মিক ব্যক্তিগণ ধর্ম্মবিষয়ে তাঁহার সহিত আলাপ আলোচনা করিয়াছিলেন। তিনি সেণ্টজেমস্ হলে পাঁচ হাজার শ্রোতার সম্মুখে ‘সুরাপনি নিবারণ' বিষয়ে তীব্র ভাষায় এক বক্তৃতা দিয়াছিলেন। ‘ভারতের প্রতি ইংলণ্ডের কর্ত্তব্য’ বিষয়ে তাঁহার বক্তৃতা শুনিয়া বিলাতে মহা আন্দোলনের সৃষ্টি হয়। ‘যিশুখ্রিষ্ট ও খ্রীষ্টান ধর্ম্ম' বিষয়ে কেশবচন্দ্রের বক্তৃতা শুনিয়া ইংরাজগণ মুক্তকণ্ঠে প্রশংসা করিয়াছিলেন। ইংলণ্ডের এক জনসভায় একবার তাঁহাকে extempore (পূর্ব্বে প্রস্তুত না হইয়া) বক্তৃতা দিবার জন্য আহ্বান করা হয়। তিনি বক্তৃতামঞ্চে উঠিয়া শুনিলেন বক্তৃতার বিষয় বস্তু শূন্য (nothing) তিনি এই দুরূহ বিষয়েই গবেষণাপূর্ণ এমন এক বক্তৃতা দিয়াছিলেন যে সমবেত জনমণ্ডলী তাহার পাণ্ডিত্য দেখিয়া বিস্ময়াভিভূত হইয়াছিল। তিনি লণ্ডনে উপস্থিত হইলে স্বয়ং মহারাণী ভিক্টোরিয়া তাহাকে আপন প্রাসাদে নিমন্ত্রণ করিয়াছিলেন এবং পুস্তকাদি দিয়া সম্মানিত করিয়াছিলেন।

 উপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসগ্রন্থ কেবল বাঙ্গলা দেশেই