পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

অতি উচ্চস্তরের গ্রন্থ। এই পুস্তকদ্বয় প্রণয়ন করিবার পরে তাঁহার খ্যাতি সমগ্র সভ্যজগতে বিস্তৃত হইয়াছে।[১]

 ভারতের বাহিরে যে সকল বাঙ্গালী গুরুদায়িত্বপূর্ণ কার্যে নিযুক্ত হইয়া খ্যাতিলাভ করিয়াছেন, লর্ড সত্যেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহ তাঁহাদের অন্যতম। ১৯১৪—১৮ সালের বিশ্বব্যাপী ইউরোপীয় মহাসমর কালে সামরিক মন্ত্রণা সমিতির (War-Conference) সদস্যরূপে ইনি বিলাত গমন করেন। বিকানীরের মহারাজা তাঁহার সঙ্গী ছিলেন। মহাযুদ্ধের অবসানে যখন সন্ধি বৈঠক (Peace Conference) বসে তখন ভারত গভর্ণমেণ্টের প্রতিনিধিরূপে তিনি তাহাতে যোগদান করেন। অতঃপর ইংলণ্ডে গমন করিলে ইনি লর্ড উপাধিতে ভূষিত হইয়া সরকারি ভারত সচিবরূপে পার্লামেণ্ট মহাসভায় আসন গ্রহণ করেন। এইরূপ উচ্চপদ ও গৌরবজনক উপাধি কোনও ভারতবাসী ইতিপূর্বে প্রাপ্ত হন নাই।

 সমগ্র পৃথিবীতে যে সকল ভাষাবিৎ পণ্ডিত জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, পণ্ডিত হরিনাথ দে তাঁহাদের অন্যতম। ইনি ল্যাটিন

  1. ধর্ম্মতত্ত্ব সম্বন্ধে তিনি যে সকল অমূল্যগ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন তাহা পাঠ করিয়া বর্ত্তমান যুগের প্রসিদ্ধ চিন্তাশীল এবং লব্ধপ্রতিষ্ঠ লেখক রোঁমা রোলা বলিয়াছেন—“Here comes Aurobinda Ghosh, the completest synthesis that has been realised to this day of the genius of Asia and of the genius of Europe.
    —Romain Rolland.