পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
২০

 বঙ্গের যে সকল বীর সন্তান ভারতের বাহিরে গিয়া আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছেন, কর্নেল সুরেশচন্দ্র বিশ্বাস তাঁহাদের অন্যতম। সুরেশচন্দ্র দেশমাতৃকার সেবায় আত্মনিয়োগ করেন নাই সত্য বটে, কিন্তু তিনি ১৭ বৎসর বয়সে স্বদেশ ও জন্মভূমি ত্যাগ করিয়া বিলাত যাত্রা করেন এবং বিলাতে নানা দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়া তিনি যে শক্তি সঞ্চয় করেন, তাহা সত্যই অদ্ভূত ও চমকপ্রদ। কুলি মজুরের কাজ হইতে ফেরিওয়ালার কাজ করিয়া অনেক সময় তিনি জীবিকা অর্জ্জন করিয়াছেন। পরিশেষে তিনি এক সার্কাসের দলে মিশিয়া আমেরিকা যাত্রা করেন। সামরিক বিভাগ বীরত্ব ও সাহস প্রদর্শনের উপযুক্ত ক্ষেত্র মনে করিয়া তিনি ১৮৮৭ খৃষ্টাব্দে ব্রেজিল গভর্ণমেণ্টের অধীনে সাধারণ সৈনিকের পদ গ্রহণ করেন এবং ক্রমে কার্য্যদক্ষতাগুণে প্রথমতঃ কর্পোরাল, তৎপরে সার্জ্জেণ্ট, এবং পরিশেষে কর্ণেলের পদে উন্নীত হন। ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দে ব্রেজিল প্রদেশে রাষ্ট্রবিপ্লব উপস্থিত হইলে বাঙ্গালীবীর সুরেশচন্দ্র সিংহবিক্রমে শত্রুদলকে বিধ্বস্ত করিয়াছিলেন। তাঁহার বীরত্বে সমগ্র বাঙ্গালী জাতি গৌরবান্বিত হইয়াছে।

 যখন বাহুবলের যুগ ছিল, তখন এই বাঙ্গালা দেশে প্রতাপাদিত্য, সীতারাম রায়, কেদার রায় প্রভৃতি বীর সন্তানগণ প্রচণ্ড মোগলশক্তির বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়া কিরূপে আপনাপন শৌর্য বীর্য্যের পরিচয় দিয়াছিলেন, তাহা ইতিহাস পাঠক মাত্রই অবগত আছেন। বিখ্যাত রাজপুত সেনাপতি অম্বররাজ