পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
২৪

পঞ্চম ডাক্তার সুনীলচন্দ্র বসু, ষষ্ঠ শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু এবং সপ্তম শ্রীযুক্ত শৈলেশচন্দ্র বসু। অষ্টম এবং সর্ব্ব কনিষ্ঠ পুত্র সন্তোষ কুমার বসু কয়েক বৎসর পূর্ব্বে প্রলোকগমন করিয়াছেন। জানকীবাবু তাঁহার পুত্রগণকে উচ্চশিক্ষা দিবার পক্ষে কোনও ত্রুটি করেন নাই। পুত্রগণের এখানকার শিক্ষা শেষ হইলেই, জানকীবাবু তাঁহাদিগকে ইউরোপে পাঠাইয়াছিলেন। গভর্নমেণ্ট জানকীবাবুকে রায় বাহাদুর উপাধি দিয়াছিলেন। গত আইন অমান্য আন্দোলনের সময়ে গভর্নমেণ্টের দমন-নীতির প্রতিবাদকল্পে তিনি ঐ উপাধি পরিত্যাগ করেন। জানকীবাবু ৭৫ বৎসর বয়সে পরলোকগমন করেন। তিনি কটক, পুরী, কার্সিয়ং এবং কলিকাতায় এক একখানি বাড়ী করিয়াছিলেন।

 জানকীবাবুর পুত্রগণ সকলেই পরবর্ত্তী জীবনে বিভিন্নক্ষেত্রে কৃতিত্ব লাভ করিয়াছেন। জ্যেষ্ঠ শ্রীযুক্ত সতীশ্চন্দ্র বসু ব্যারিষ্টার। তিনি পূর্ব্বের কলিকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলার হইয়াছিলেন এবং বর্ত্তমানে বিপুল সংখ্যক ভোটাধিক্যে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্ব্বাচিত হইয়াছেন। মধ্যম শ্রীযুক্ত শরৎচন্দ্র বসু স্বনামধন্য ব্যারিষ্টার এবং দেশনেতা। শরৎবাবু প্রথমতঃ উকিল হইয়া কলিকাতা হাইকোর্টে প্রবেশ করেন। পরে বিলাত হইতে ব্যারিস্টারি পাশ করিয়া কৃতিত্বের সহিত হাইকোর্টে ব্যারিষ্টারি করিতেছেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের একজন প্রধান সহকারি হিসাবে তিনি কর্পোরেশনের কাউন্সিলার হইয়াছিলেন, এবং ‘ফরওয়ার্ড’ পত্রিকার ভার লইয়া প্রথমে