পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৫
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

রাজনীতি ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন। শরৎচন্দ্র এবং তাঁহার সহধর্ম্মিণী সুভাষচন্দ্রের রাজনৈতিক জীবনের উপর অশেষ প্রভাব বিস্তার করিয়াছিলেন। তৃতীয় শ্রীযুক্ত সুরেশচন্দ্র বসু উড়িষ্যার ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন। অসহযোগ আন্দোলনের সময়ে তিনি ঐ পদ ত্যাগ করিয়াছিলেন। তিনি বর্তমানে ইম্প্রুভমেণ্ট ট্রাষ্ট ট্রাইবিউনালের অন্যতম য়্যাসেসর। চতুর্থ শ্রীযুক্ত সুধীরচন্দ্র বসু টাটা কোম্পানির কয়লার খনির একজন বড় অফিসার। পঞ্চম সুনীল চন্দ্র বসু কলিকাতার হৃদ্‌রোগের একজন বড় হার্ট স্পেশালিষ্ট প্রসিদ্ধ চিকিৎসক। সুভাষচন্দ্র মাতা পিতার ষষ্ঠ সন্তান। সপ্তম শৈলেন চন্দ্র বসু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার।


শিক্ষা

 পাঁচ বৎসর বয়সে সুভাষচন্দ্রকে কটকে প্রটেস্ট্যাণ্ট ইউরোপিয়ান স্কুলে ভর্ত্তি করিয়া দেওয়া হয়। তারপর তিনি রাভেনশ’ কলেজিয়েট স্কুলে প্রবেশ করেন। সেই স্কুল হইতে তিনি কৃতিত্বের সহিত ম্যাট্রিকিউলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এই পরীক্ষায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। স্কুলে অধ্যয়নকালে তিনি বরাবরই তাঁহার শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করিতেন।


ধর্ম্মালোচনা

 সুভাষচন্দ্র ১৪ বৎসর বয়ঃক্রমকালে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেব ও স্বামী বিবেকানন্দের প্রতি আকৃষ্ট হন। এই ধর্ম্মপ্রাণতা