পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৯
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

কলেজ জীবন ও সন্ন্যাস গ্রহণের চেষ্টা

 ম্যাট্রিকিউলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইবার পরে সুভাষচন্দ্র কলিকাতায় আসেন। এখানে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। ইণ্টারমিডিয়েট কোর্স পড়িবার সময় তাঁহার অন্তরে সন্ন্যাসগ্রহণের প্রবল প্রেরণা আসে। তিনি ইতিপূর্ব্বে শুনিয়াছিলেন অনেক সাধুপুরুষ ধর্ম্মজীবন লাভ করিবার উদ্দেশ্যে সংসার পরিত্যাগ করিয়া হিমালয় প্রদেশে গমন করিয়াছেন এবং কঠোর তপস্যার ফলে সিদ্ধিলাভ করিয়াছেন। এই ধনীর দুলালও চতুর্দ্দশ বৎসর বয়সে সংসারের ভোগসুখে বীতস্পৃহ হইয়া সদ্গুরুর অন্বেষণে গৃহ পরিত্যাগ করিতে দৃঢ়সংকল্প হইলেন। আর্য্য ঋষিগণের প্রদর্শিত পথ অবলম্বন করিয়া ধর্ম্মজীবন লাভ করিবার আশায় বালক সুভাষ দ্বিতীয় বুদ্ধের ন্যায় একদিন সত্য সত্যই মাতাপিতা আত্মীয়স্বজনের মায়া মোহ কাটাইয়া হিমালয় অভিমুখে ধাবিত হইলেন ৷

 বস্তুতঃ যে সময়ে মহাত্মা গান্ধী নবীন ব্যারিষ্টার রূপে ভারতের ধর্ম্মাধিকরণ অলঙ্কৃত করিয়া স্বীয় উজ্জ্বল ভবিষ্যতের বিষয় চিন্তা করিতেছিলেন,। যে সময়ে যুবক নেহেরু হ্যারো ও কেম্ব্রিজের ক্রীড়া প্রাঙ্গণে বালস্বভাবসুলভ ক্রীড়ায় সময়াতিপাত করিতেছিলেন, সেই সময়ে এই তরুণ বালক সংসারসুখে জলাঞ্জলি দিয়া সন্ন্যাস জীবনের কৃচ্ছ্রসাধনে মনোনিবেশ করিলেন। গভীর তমসাবৃত রজনীতে যখন সমগ্র জগৎ সুষুপ্ত, যখন সিংহ, ব্যাঘ্র প্রভৃতি হিংস্র জন্তুগণ অরণ্য প্রদেশে শিকারান্বেষণে ব্যস্ত, যখন