পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
৩০

বাত্যাবিক্ষুব্ধ নদী তরঙ্গরাশির ভীষণ গর্জ্জনে বীরপুরুষের হৃদয়ও কম্পমান, সেই সময়ে এই তরুণ সন্ন্যাসী হিমালয় প্রদেশের ভীষণ বনানী মধ্যে সদ্‌গুরুর অনুসন্ধানে নির্ভীকভাবে বিচরণ করিতেছিলেন।

 এইরূপ ধর্ম্মোন্মত্ততা লইয়া এই তরুণ সন্ন্যাসী হরিদ্বার, বারাণসী, গয়া, বৃন্দাবন প্রভৃতি প্রসিদ্ধ তীর্থস্থানের হিন্দু মন্দির সকল দর্শন করিয়া এবং তত্রত্য সাধু মোহান্ত ও ধর্ম্মার্থিগণের জীবন যাপন প্রণালী লক্ষ্য করিয়া ছয়মাস অতিবাহিত করিলেন। কিন্তু সেই সকল গৃহত্যাগী সাধু সন্ন্যাসীগণের মধ্যে ভোগলালসার আতিশয্য দেখিয়া এই নবীন সন্ন্যাসী হতাশ হইয়া গৃহে প্রত্যাবর্ত্তন করিলেন।

 ১৯১৫ সালে সুভাষচন্দ্র আই-এ পরীক্ষা দিয়া প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। কলেজে পাঠ করিবার সময়ে সতীর্থগণের উপর তিনি তাঁহার অসামান্য প্রভাব বিস্তার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। ছাত্রজীবনে সুভাষচন্দ্র স্বামী বিবেকানন্দের অত্যন্ত অনুরক্ত ছিলেন। এমন কি ভবিষ্যৎ জীবনে তিনি স্বামীজীকেই আদর্শরূপে গ্রহণ করিয়া তাঁহার প্রদর্শিত পথে গমন করিতে চেষ্টা করিতেন। তিনি বলিতেন “স্বামীজি ও আমি একই আদর্শ লইয়া কর্ম্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়াছি। তবে তাঁহার বিষয়বস্তু—ধর্ম্ম এবং আমার বিষয়বস্তু—রাজনীতি।”

 ইহার পর প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক মিঃ ই, এফ, ওটেনকে প্রহার করার অপরাধে সুভাষচন্দ্র কলেজ হইতে