পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩১
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

বিতাড়িত হন। এই সময়ে কলেজের ছাত্রগণের মধ্যে ধর্ম্মঘট হয় এবং এই ধর্ম্মঘটের জন্য কর্তৃপক্ষগণ সুভাষচন্দ্রকেই দায়ী করেন। এইরূপে বাধাপ্রাপ্ত হইয়া সুভাষচন্দ্র কিছুদিন অধ্যয়ন কার্য্য হইতে বিরত থাকেন। এই ঘটনার ফলে শাসক জাতির ব্যবহারে তাঁহার জীবনে আমূল পরিবর্তন লক্ষিত হয়।

 ১৯১৭ সালে পরলোকগত স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের সহায়তায় তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনঃ প্রবেশ করিবার অনুমতি লাভ করেন, এবং স্কটিশ চার্চ্চ কলেজে চতুর্থ বার্ষিক শ্রেণীতে যোগদান করেন। ক্লাসের মধ্যে শেষ বেঞ্চে তাঁহার বসিবার স্থান নির্দ্দিষ্ট ছিল। চতুর্থ বার্ষিক শ্রেণীতে পড়িবার সময় ছাত্রগণ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হওয়াই একমাত্র কর্ত্তব্য বলিয়া মনে করে। কিন্তু সুভাষচন্দ্র এই অল্প সময়ের মধ্যেও তাঁহার বন্ধুবান্ধবগণকে লইয়া ময়দানে ফুটবল খেলা দেখিতে যাইতেন এবং খেলা শেষ হইলে পদব্রজে তাঁহার ভবানীপুরের বাটীতে ফিরিয়া আসিতেন।

 সুভাষচন্দ্র স্কটিশচার্চ্চ কলেজ হইতে বি-এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং দর্শন শাস্ত্রে প্রথম শ্রেণীর সম্মান লাভ করেন। এই সময়ে বাঙ্গালী ছাত্রদিগকে সামরিক শিক্ষা দিবার জন্য ইউনিভারসিটি ট্রেণিং কোর গঠিত হইয়াছিল। সুভাষচন্দ্র এই ট্রেণিং কোরে যোগদান করেন।

 ১৯১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা করিবার জন্য সুভাষচন্দ্র বিলাত যাত্রা করেন।