পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
৩২

বিলাত যাত্রার আট মাস পরে তিনি আই-সি. এস পরীক্ষা দেন। ঐ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া তিনি চতুর্থস্থান অধিকার করেন। তিনি মনোবিজ্ঞান ও নীতিবিজ্ঞানে ট্রাইপোজ সহ কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-এ ডিগ্রীও লাভ করেন। ইংলণ্ডে শিক্ষালাভ করিবার সময়ে শ্রীযুক্ত দিলীপকুমার রায়, কলিকাতা করপোরেশনের ভূতপূর্ব্ব এডুকেশন অফিসার মিঃ কে. পি. চট্টোপাধ্যায় এবং অধ্যাপক কে. সি চট্টোপাধ্যায় তাঁহার বন্ধু ছিলেন ৷

 একদিকে সিভিল সার্ভিসের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ—অপর দিকে মাতৃভূমির আকুল আহ্বান, সুভাষচন্দ্র কোন্ পথে যাইবেন! স্বদেশপ্রেমিক সুভাষচন্দ্র মায়ের ডাকই শুনিলেন। তিনি সিভিল সার্ভিসের লোভনীয় পদ পরিত্যাগ করিয়া মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিবার সংকল্প করিলেন।

 সুভাষচন্দ্র সিভিল সার্ভিসে কৃতকার্য্য হওয়াতে আহ্লাদিত না হইয়া বরং দুঃখিত হইয়াছিলেন। এ বিষয়ে তিনি তাঁহার কলিকাতাস্থ বন্ধুগণকে এই মর্ম্মে পত্র লিখিলেন “আমি সিভিল সার্ভিসে কৃতকার্য্য হওয়া সত্ত্বেও এই লোভনীয় পদ পরিত্যাগ করিবার সংঙ্কল্প করিয়াছি। কেন না আমি স্থিরভাবে চিন্তা করিয়া এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছি যে ইংরাজপ্রভু ও স্বদেশ এই উভয়কে একই সময়ে সেবা করা যখন আমার পক্ষে অসম্ভব, তখন সিভিল সার্ভিসের মোহ পরিত্যাগ করিয়া স্বদেশ-সেবা ব্রতকেই জীবনের কর্ত্তব্য বলিয়া স্থির করিব।” এই সংকল্প