পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৩
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

কার্য্যে পরিণত করিবার জন্য তিনি ষ্টেটস্ সেক্রেটারী মিষ্টার মল্টেগুর সহিত সাক্ষাৎ করিলেন এবং তাঁহার বারংবার নিষেধ সত্ত্বেও সুভাষচন্দ্র সিভিল সার্ভিসে ইস্তফা প্রদান করিলেন।


বেঙ্গল নেশনাল্ কলেজ

 ১৯৩১ সালের শেষভাগে সুভাষচন্দ্র কংগ্রেসে যোগ দিলেন। সেই সময়ে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস অসহযোগ আন্দোলন আরম্ভ হইয়াছে। অনেক ব্যবহারজীবী আইন ব্যবসায় পরিত্যাগ করিয়াছেন। ডাক্তারেরা ডাক্তারি ছাড়িতেছেন এবং মহাত্মার আদেশ পালন করিবার জন্য অনেক বিদ্যালয়ের ছাত্র স্কুল কলেজ পরিত্যাগ করিয়াছে। ছাত্রগণের শিক্ষা যাহাতে একেবারে বন্ধ হইয়া না যায়, সেজন্য কংগ্রেস অনেকগুলি জাতীয় বিদ্যালয় (National College) স্থাপন করিতে মনস্থ করিলেন। সুপ্রসিদ্ধ জনপ্রিয় নেতা লালা লাজপত রায় পাঞ্জাবের জাতীয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হইলেন, এবং দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন কলিকাতা জাতীয় বিদ্যালয় পরিচালনার ভার গ্রহণ করিলেন। বিলাত প্রত্যাগত সুভাষচন্দ্রকে জাতীয় বিদ্যালয় পরিচালনা করিবার উপযুক্ত পাত্র মনে করিয়া দেশবন্ধু তাঁহার উপরেই এই কার্য্যের ভার অর্পণ করিলেন।

 সুভাষচন্দ্র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীরূপে যখন বিলাতে ছিলেন, তখন তিনি ইউরোপের আন্তর্জ্জাতিক রাজনীতি সম্বন্ধে