পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ২ ]

আনন্দ বাজার পত্রিকা হইতে উদ্ধৃত “নেতাজীর অন্তর্ধান” কাহিনী প্রভৃতি কয়েকটি সংবাদ একত্রে সন্নিবিষ্ট করিয়া বাঙ্গলার কৌতূহলী পাঠক পাঠিকাগণের সমক্ষে স্থাপন করিবার জন্যই এই এন্থের অবতারণা। সুভাষচন্দ্রের জীবনী সম্বন্ধে লিখিত “Rebel President” নামক বিখ্যাত ইংরাজি গ্রন্থ হইতেও কোন কোন অংশ গ্রহণ করিতে বাধ্য হইয়াছি। মাসিক বসুমতী হইতে ‘ত্রিপুরী অভিভাষণ’ এবং নবযুগ হইতে ‘সিঙ্গাপুর অভিভাষণ’ নামক প্রবন্ধদ্বয় উদ্ধৃত করিয়া পুস্তকখানির সৌষ্ঠব বৃদ্ধি করিতে প্রয়াস পাইয়াছি। এজন্য আমি এই সকল সংবাদপত্র সম্পাদক ও গ্রন্থকারের নিকট আন্তরিক কৃতজ্ঞতা স্বীকার করিতেছি। মৎপ্রণীত কয়েকটি মৌলিক প্রবন্ধও এই গ্রন্থে সন্নিবেশিত করা হইয়াছে। গ্রন্থপানির দ্বারা পাঠক পাঠিকাগণের এবং সুকুমার-মতি বালক বালিকাগণের কৌতূহল কিয়ৎ পরিমাণে চরিতার্থ হইলে লেখকের শ্রম সফল হইবে।

 উপসংহারে নিবেদন এই যে সুভাষচন্দ্রের জীবনের কিয়দংশ এখনও লোকচক্ষুর অন্তরালে বিদ্যমান রহিয়াছে। তাহার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী যদি কোনও দিন লোকলোচনের গোচরীভূত হয়, তাহা হইলে অনেক সমস্থার সমাধান হইতে পারে। সুতরাং এই গ্রন্থে আমি তাঁহার অলৌকিক জীবনের কতকগুলি উপাদান মাত্র দিতে সক্ষম হইয়াছি। ভবিষ্যৎ ইতিহাসবেত্তা যখন এই মহাপুরুষের জীবনবৃত্তান্ত লিখিতে প্রবৃত্ত হইবেন, এই উপাদানগুলি তাহার আবশ্যক হইতে পারে। আর এক কথা,—সাহিত্যক্ষেত্রে এই আমার প্রথম লেখনী ধারণ-পদে পদে উপাহাসাম্পদ হইবার সম্ভাবনা। কিন্তু তথাপি দুঃখিত হইবার কারণ নাই। যেহেতু কালিদাসের ন্যায় মহাকবিও বলিয়াছেন—

মন্দঃ কবি-যশঃ প্রাথী গামিষ্যাম্যুপহস্যতাম্।
প্রাণ্ডলভ্যে ফলে লোভা উদ্বাহুরিব বামনঃ।।