পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
৩৪

এবং ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্বন্ধে প্রচুর অভিজ্ঞতা অর্জ্জন করিয়াছিলেন। তাঁহার সেই অভিজ্ঞতা এখন দেশের কাজে লাগিল। জাতীয় কলেজের এই নবীন অধ্যক্ষ ছাত্রগণের অন্তরে স্বদেশপ্রেমের বীজ অঙ্কুরিত করিয়া তাহাদিগকে জাতীয় জীবনের উপযোগী করিয়া তুলিতে লাগিলেন।


হরতাল

 সুভাষচন্দ্রের অদ্ভুত কার্য্যকুশলতার পরিচয় পাওয়া যায় ১৯২১ খ্রীষ্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর, যখন মহামান্য প্রিন্স অফ ওয়েল্‌স্ ভারতে আগমন করেন। তাঁহার কর্ম্মপন্থা এরূপ কার্য্যকরী হইয়াছিল যে সেইদিন কলিকাতা মহানগরীকে জনমানবহীন বিজন পুরীর ন্যায় প্রতীয়মান হইয়াছিল। কেবল কলিকাতায় নহে—সমগ্র বঙ্গদেশ এবং ভারতবর্ষের প্রধান প্রধান সহরগুলিতেও হরতাল হইয়াছিল।

 সুভাষচন্দ্রের চেষ্টায় হরতাল এইরূপে সাফল্যমণ্ডিত হওয়ায় আংলোইণ্ডিয়ান ও ইউরোপীয় সম্প্রদায় সমূহ এবং ব্যবসায় সংক্রান্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ইহাকে যুবরাজের মর্য্যাদাহানিকর বলিয়া মনে করিলেন। জনসাধারণ স্বেচ্ছায়ই হরতাল করিয়াছিল। কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবকগণ কেবল তত্ত্বাবধান করিয়াছিলেন—যাহাতে কোনও রূপ গোলযোগ না হয়। তথাপি আংলোইণ্ডিয়ান সংবাদপত্রগুলি কংগ্রেস ও খিলাফৎ প্রতিষ্ঠান