পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৫
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

প্রভৃতিকে এই হরতালের কারণ স্থির করাতে ব্রিটিশ গভর্নমেণ্ট উহাদিগকে বেআইনি বলিয়া ঘোষণা করিলেন। কলিকাতা ও সহরতলীতে তিন মাসের জন্য জনসভা ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ হইল। কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবক ও খেলাফৎ কমিটিকে বেআইনি ঘোষণা করিয়া বাঙ্গালা গভর্ণমেণ্ট যে আদেশ দেন, তাহার প্রতিবাদকল্পে কলিকাতার নেতৃগণ এবং কর্ম্মীগণ এক বিবৃতি বাহির করেন। ইহার পরে ১৯২১ সালের ১০ই ডিসেম্বর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু ও অপর কয়েকজন নেতাকে কারারুদ্ধ করা হইল। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ও সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি বিনাশ্রমে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ হইল।


উত্তর বঙ্গে বন্যা

 ১৯২২ সালে সুভাষচন্দ্রের কারামুক্তি হয়। ঐ বৎসর উত্তরবঙ্গে ভীষণ জলপ্লাবন হয়। সুভাষচন্দ্র বেঙ্গল রিলিফ্ কমিটির সেক্রেটারিরূপে বন্যা প্রপীড়িত ব্যক্তিগণের সাহায্য করিবার জন্য ঐ অঞ্চলে গমন করেন। সুভাষচন্দ্র সেই সময়ে নানাস্থানে সাহায্য কেন্দ্র সংস্থাপন করিয়া সহস্র সহস্র বুভুক্ষু নরনারীকে অন্নদান ও বস্ত্রহীনকে বস্ত্রদান করিয়া যেরূপ কর্ম্মদক্ষতার পরিচয় প্রদান করেন, তাহা তাঁহার স্বদেশবাসীর হৃদয়ে এখনও সুস্পষ্টভাবে জাগরুক রহিয়াছে। তাঁহার সেই অসাধারণ