পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
৩৮

হইলেন। ডাক্তার বি সি রায় এবং শ্রীযুক্ত সাতকড়িপতি রায় যথাক্রমে তাঁহাদের স্থান অধিকার করিয়া সহরের অধীবাসীগণকে বিস্মিত করিয়া দিলেন।

 সুভাষচন্দ্রের ভাষায় কোনও আবিলতা বা অস্পষ্টতা ছিল না। ‘ফরওয়ার্ড’ পত্রিকার পরিচালনকার্য্যে তিনি যে বিদ্যাবত্তা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়াছেন, সংবাদপত্রসেবীগণ চিরদিনই তাহা স্মরণ করিয়া রাখিবেন। পত্র পরিচালন সম্বন্ধে চিরাচরিত প্রথা পরিত্যাগ করিয়া, তিনি অনেক বিষয়ে নূতন নূতন প্রথার প্রবর্ত্তন করিয়াছিলেন। দেশবন্ধুর বক্তৃতাগুলি তিনি ফরওয়ার্ডে এমনভাবে মুদ্রিত করিতেন, যাহাতে ইংরেজি শিক্ষিত জনগণের মধ্যে দেশাত্মবোধ পুর্ণমাত্রায় বিকাশ প্রাপ্ত হয়। এইরূপে তাঁহার ঐকান্তিক যত্নে সংবাদপত্র সম্পাদন কার্য্যে যুগান্তর উপস্থিত হইয়াছিল।


কর্পোরেশনের প্রধান কর্ম্মকর্তা

First C.E.O. of C.C.

 অতঃপর সুভাষচন্দ্র ‘ফরওয়ার্ড’ পত্রিকার পরিচালনা এবং কর্পোরেশন নির্ব্বাচন উভয় কার্য্যেই মনোনিবেশ করিলেন। দেশবন্ধু কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র এবং মিঃ সুরাবর্দ্দী ডেপুটী মেয়র হইলেন। এখন এই প্রতিষ্ঠানের C.E.O. বা প্রধান কর্ম্মকর্তা কে হইবেন তাহাই হইল সমস্যার বিষয়। সুভাষচন্দ্রের ন্যায় উপযুক্ত ব্যক্তি