পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সহীদ যতীন দাসের মৃত্যু

 ১৯২৯ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার আসামী যতীন্দ্রনাথ দাস লাহোর সেণ্ট্রাল জেলে ৬৩ দিন অনশন করিয়া প্রাণত্যাগ করেন। তাঁহার শবদেহ লাহোর হইতে কলিকাতায় আনীত হয়। এই উপলক্ষে সুভাষচন্দ্র যে বিরাট শবযাত্রার আয়োজন করেন, সেরূপ শবযাত্রা এক দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের মৃত্যু উপলক্ষেই দেখা গিয়াছিল।

ছাত্র সম্মেলন

 ১৯২৯ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু হাওড়া রাষ্ট্রীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯শে অক্টোবর তিনি পাঞ্জাব ছাত্র সম্মেলনের সভাপতি হন। ১লা ডিসেম্বর তারিখে অমরাবতীর ছাত্র সম্মেলনেও সভাপতিত্ব করেন!

 ১৯২৯ সালের ১লা ডিসেম্বর লাহোরে জাতীয় মহাসমিতির ৪৪ তম অধিবেশন হয়। এই সভায় শ্রীযুক্তবসু পূর্ণ স্বাধীনতাই স্বরাজের অর্থ বলিয়া ঘোষণা করেন। কিন্তু কলিকাতা অধিবেশনের ন্যায় বর্ত্তমান অধিবেশনেও তাঁহার প্রস্তাব অগ্রাহ হয়।