পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৫
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

আসিয়া ১৯৩৮ সালে এই অধিবেশনে যােগদান করেন এবং একটি সুচিন্তিত অভিভাষণ প্রদান করেন। এই অভিভাষণে তাঁহার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দূরদর্শিতা এবং চিন্তাশীলতার যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়।

ত্রিপুরী অধিবেশন

 ১৯৩৯ খৃষ্টাব্দে সুভাষচন্দ্র নিখিল ভারতীয় জাতীয় মহাসমিতির ত্রিপুরী অধিবেশনের সভাপতি নির্ব্বাচিত হন। এই নির্ব্বাচন উপলক্ষে ডাক্তার পট্টভি সীতারামিয়া তাঁহার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। কিন্তু সুভাষবাবুর জনপ্রিয়তা এরূপ প্রসার লাভ করিয়াছিল যে বিপুল সংখ্যক ভােটে তিনি তাঁহার প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করিয়া কংগ্রেসের সভাপতি পদে মনােনীত হইলেন। দুঃখের বিষয় সুভাষবাবুর এই বিজয় মহাত্মা গান্ধী প্রমুখ কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ নির্ব্বিকারচিত্তে গ্রহণ করিতে পারেন নাই। বিশেষতঃ ত্রিপুরী অধিবেশন উপলক্ষে মহাত্মার আশ্রয়-পুষ্ট কংগ্রেস হাইকমাণ্ডের সদস্যগণ সুভাষবাবুর যেরুপ বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছিলেন, তাহা কংগ্রেসের ইতিহাসকে চিরদিন কলঙ্ক কালিমায় আবৃত করিয়া রাখিবে। এমনকি মহাত্মা গান্ধীর আচরণেও এই বাঙ্গালী-বিদ্বেষ যেরূপ পরিস্ফুট হইয়াছিল, তাহা বঙ্গবাসী এখনও ভুলিতে পারে নাই।

 সুভাষবাবু ৫ই মার্চ্চ তারিখে অসুস্থ অবস্থায় কলিকাতা হইতে